ছবি - প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন কাটলেই কি শুরু হবে শুটিং? টলিপাড়ায় এখন কোটি টাকার প্রশ্ন এটাই। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এনিয়ে একটি প্রস্তাব এসেছে। সেখানে একাধিক নিয়মের কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম মুখ্য হল সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ। শুটিং ফ্লোরে দুই ব্যক্তির মধ্যে অন্তত ৬ ফুট দূরত্ব রেখে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। তবে সেই প্রস্তাব মেনে নিয়ে শুরু হবে বাংলা ধারাবাহিকের শুটিং?
এই নিয়ে টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় প্রযোজক ও পরিচালক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি নিয়ে ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের বহু আগে থেকেই প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশন এবং চ্যানেল এটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছে। প্রথমে চ্যানেল প্রস্তাব দিয়েছিল, লকডাউনের আগে স্যানিটাইজ করে শুটিং করা সম্ভব কিনা। কিন্তু তারপর তো লকডাউনই হয়ে গেল। কাজ সব বন্ধ। তখন ফেডরেশনের আওতায় যে সব গিল্ড রয়েছে, যেমন- হেয়ারড্রেসার, মেকআপম্যান, সমস্ত বিভাগের গিল্ডে নিয়ে নন্দনে একটি আলোচনা সভা ডাকা হয়। সেখানে প্রোডিউসরস গিল্ড, আর্টিস্ট ফোরাম, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, টেলি অ্যাকাডেমি ও ফেডারেশনের লোকেরাও ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় এই পরিস্থিতিতে ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে শুটিং।
এরপর ভাবনাচিন্তা শুরু হয় যে লকডাউনের পর শুটিং টিম যদি ছোট করে শুটিং শুরু করা যায়, তা নিয়ে। “সেক্ষেত্রে যদি ২০-২৫ জনকে নিয়ে শুটিং করা যায়, তার প্রস্তাবও দিই আমরা। এসব নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক আগে থেকেই। তবে আলোচনা ছিল নিজেদের মধ্যে। কিন্তু নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। কারণ, আমরা এনিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করতে পারি না। আমরা আলোচনা করতে পারি মাত্র। কিন্তু এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করতে গেলে প্রত্যেককে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার মধ্যে মেক-আপ, ক্যামেরা, শিল্পী সব সংগঠনের প্রধানদের বসতে হবে আলোচনায়। তার থেকেও বড় কথা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। কিন্তু একথা সত্যি যে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে শুটিং করা সম্ভব নয়। মেক-আপ ম্যানকে মেক-আপের স্বার্থে আর্টিস্টের মুখের কাছে যেতেই হবে। ডিরেক্টরকেও আর্টিস্টের কাছে গিয়েই শট বোঝাতে হবে। সর্বোপরি দু’জন মানুষের মধ্যে ৬ ফুট দূরত্ব রেখে শুটিং করা সম্ভব নয়। তার চেয়ে ভাল প্রত্যেকের বাড়ি গিয়ে শুটিং করা।”
তাহলে কি লকডাউনের পর শুরু হবে না শুটিং? শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমার মনে হয় এই নির্দেশিকাগুলি বিষেশজ্ঞদের থেকে আসা উচিত। এক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কথা মেনেই চলা আমাদের উচিত। এটা ওনারা (ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন) প্রস্তাব দিয়েছেন মাত্র। আমরা আমাদের তরফ থেকে প্রেস রিলিজ করব। আমাদের বিভিন্ন বিভাগ ও সরকারি হেল্থ ডিপার্টমেন্ট যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই অনুযায়ীই এগোব আমরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.