সন্দীপ্তা ভঞ্জ: টলিউডের চেনা মুখ সোহেল দত্ত। তবে বিগত আড়াই বছর ধরে তাঁকে সেভাবে পর্দায় দেখা যায়নি। রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন সোহেল দত্ত (Sohail Dutta)। এবার দীর্ঘদিন বাদে টেলিভিশনের পর্দায় ফিরছেন তিনি। নেপথ্যে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এনআইডিয়াস প্রযোজিত ধারাবাহিক ‘মিত্তির বাড়ি’। দীপাবলিকে ঘিরেই সিরিয়ালের গল্পের শুরুয়াত। পাশাপাশি সোহেলের নিজের বাড়িতেও বড় করে কালীপুজো হয়। চলতি বছর অভিনেতার কালীপুজো ৪৯-এ পা দেবে। তাঁদের বাড়ির শক্তি আরাধনা অর্ধশত ছোয়ার দোরগোড়ায়, অতঃপর দুই মিলিয়ে সোহেল দত্ত ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।
বাড়ির কালীপুজোর আয়োজনের মাঝেই সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এর সঙ্গে কথা বললেন অভিনেতা। জানালেন, সঠিক সময় আর চরিত্রের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম এতদিন। গত আড়াই বছরে একাধিক কাজের প্রস্তাব এলেও সায় দিইনি। কারণ সেখানে আমার অভিনয় পরিবেশন করার সুযোগ সীমাবদ্ধ ছিল। তবে ‘মিত্তির বাড়ি’তে আমার চরিত্রটা একটু অন্য ধরনের। সেটাই আমাকে আকৃষ্ট করল। তাই রাজি হয়ে গেলাম। কীরকম চরিত্রে দেখা যাবে সোহেল দত্তকে এখানে? প্রশ্ন যেতেই অভিনেতা জানালেন, “মিত্তিরদের যৌথ পরিবার। আর সব যৌথ পরিবারের মতো এখানেও সদস্যদের মধ্যে মনোমালিন্য রয়েছে। আমাকে এখানে খানিক ধূসর চরিত্রে দেখা যাবে। তবে সেই রহস্য উন্মোচনের জন্য দর্শকদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। এই পরিবারের ছোটছেলে আমি। আদৃত রায় আমার তুতো দাদার চরিত্রে।”
আর ‘মিত্তির বাড়ি’ সিরিয়ালের গল্পটা কীরকম? সোহেল জানালেন, “মিত্তির পরিবারের তিন ছেলে। আমার জেঠু, আমার বাবা আর কাকা। প্রত্যেকেই যে যাঁর মতো নিজেদের সংসারে ব্যস্ত। আমরা একটু বিত্তশালী এবং আদৃতদের পরিবার গ্রামের বাড়িতে দাদু-দিদার সঙ্গে থাকে। মধ্যবিত্ত মানের। দীপাবলি আবহেই সেই পৈতৃক ভিটেতে পরিবারের সকলে জড়ো হয়। আর সেই দেশের বাড়ি বিক্রির জন্যই উঠে-পড়ে লাগি আমি। তারপর? ট্যুইস্ট এখানেই।” বাকি গল্প জানতে হলে চোখ রাখতে হবে জি বাংলায়। তাহলে কি এবার রাজনীতি থেকে দূরেই থাকবেন? অভিনেতা বলছেন, “আপাতত অভিনয়েই বেশি মন দিতে চাই।” নভেম্বর মাস থেকেই জি বাংলায় দেখা যাবে ‘মিত্তির বাড়ি’।
বাড়ির কালীপুজোর আয়োজন কতদূর? উচ্ছ্বসিত সোহেল জানালেন, “গত তিন বছর ধরেই পুজোর সমস্ত আয়োজনের দায়িত্বে আমি। প্রতিষ্ঠিত মূর্তি আমাদের নেই। প্রতিবার মূর্তি এনেই বাড়িতে পুজো হয়। আগামী বছর পঞ্চাশে পা দেবে আমাদের কালীপুজো। সেইবার একটু বড় পরিসরে প্ল্যান করব। পুজোর দিন পরিবারের সকলে একসঙ্গে একত্রিত হওয়া, ভোগ খাওয়া আড্ডা তো হয়ই, পরের দিন সকালে আমরা প্রতিবার ভোগ বিতরণ করি। এবারও তাই হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.