সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেত্রী সেজল শর্মা আত্মহত্যা কাণ্ডে নয়া মোড়। কেন তিনি আচমকা আত্মহত্যা করলেন, তা নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছিল রহস্য। উঠে আসছিল তাঁর মানসিক অবসাদের কথাও। কিন্তু অভিনেত্রীর মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের কোনওরকম মানসিক অবসাদ ছিল না। দিব্যি সুস্থ ছিলেন তিনি। এমনকী নতুন একটি প্রজেক্টে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের অফারও পেয়েছিলেন। তারপরও কেন সেজল আত্মহত্যা করলেন, তা তাঁর কাছেও রহস্য। অন্যদিকে সেজলেরই এক বন্ধু আত্মহত্যার জন্য অভিনেত্রীর মানসিক অবসাদকেই দায়ী করেছেন।
শুক্রবার টেলিভিশন অভিনেত্রী সেজল শর্মাকে মুম্বাইয়ের মীরা রোডের বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত কোনও কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে মনে করছে সেজলের ঘনিষ্ঠ মহল ও পুলিশ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ফোনে অনেকক্ষণ কথা হয় অভিনেত্রীর। তারপরই শুক্রবার আত্মহত্যা করেন তিনি। এই দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এরই মধ্যে সেজলের বন্ধু নির্ভয় শুক্লা জানান, মানসিক অবসাদ ভুগছিলেন সেজল৷ কিছুদিন আগে সেজল তাঁকে বলেন, বাবার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জন্য উদয়পুর যাবেন। বাবার অসুস্থতা নিয়েই চিন্তিত ছিলেন সেজল৷ সেই কারণেই হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়া নিয়েও অবসাদ তৈরি হচ্ছিল তাঁর। যদিও মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তিনি একটি অডিশন দিতে গিয়েছিলেন। তাতে সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন কাজ না পাওয়ায় মানসিক অবসাদ তৈরি হয়েছিল তাঁর। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে পারেননি সেজল। একই কথা বলেন সেজলের আরও এক বন্ধু জেসমিন ভাসিন। তিনিও জানান, মা ও বাবার অসুস্থতাই সেজলের অবসাদের কারণ। সেজলের উপর অনেক দায়িত্ব ছিল। টাকা রোজগার করতে হবে, তাঁদের দেখভাল করতে হবে, এমন অনেক কিছু। এত চাপ নিতে পারতেন না সেজল।
তবে সেজলের বন্ধুদের বক্তব্যের সঙ্গে কিন্তু সহমত পোষণ করতে পারেননি অভিনেত্রীর মা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, সেজল তো প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। তারপরেও সে কেন আত্মহত্যা করবে? অভিনেত্রীর মায়ের এমন মন্তব্যের পর পুলিশ আরও ধন্দে। নতুন করে তৈরি হচ্ছে রহস্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.