সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমানে বাংলা টেলিভিশন জগতে পিরিয়ডিক ধারাবাহিকের আনাগোনা বেড়েছে। সে হতে পারে কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তির জীবন অবলম্বনে কিংবা সাহিত্য নির্ভর ধারাবাহিক। তাদের মধ্যে সবক’টা ধারাবহিকই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আর এবার ‘দেবী চৌধুরাণী’র পর এবার ফের আসতে চলেছে আরও এক বঙ্কিমী ধারাবাহিক- ‘কপালকুণ্ডলা’। নেপথ্যে পরিচালক-প্রযোজক রাজ চক্রবর্তী।
‘কপালকুণ্ডলা’র মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন সৌমী চট্টোপাধ্যায়। ২০১৭ সালে ‘ফুলি’ ধারাবাহিকের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল যাঁর যাত্রা। অন্যদিকে কাপালিকের ভূমিকায় দেখা যাবে দেবজ্যোতি রায়চৌধুরিকে। মোশন পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পরই এই ধারাবাহিক নিয়ে বেশ উন্মাদনার পারদ চড়েছিল। ‘কপালকুণ্ডলা’র পরিচালকের আসনে রয়েছেন অমিত সেনগুপ্ত। যিনি কিনা ‘দেবী চৌধুরাণী’ও পরিচালনা করেছিলেন। ধারাবাহিকে গল্পটা শুরু হয়েছে কীভাবে? কপালকুণ্ডলাকে কুড়িয়ে পান কাপালিক। সমাজ, সংস্কার, আত্মিক অনুভূতি প্রায় সবকিছুর সঙ্গে যার যোগ বিচ্ছিন্ন। সেখানেই নরবলি দেখতে দেখতে বড় হয়ে ওঠা তার। কাজেই নরবলি ব্যাপারটিও তার কাছে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। তাঁরও সংসার করার সাধ জাগে। সদ্য পরিচয় হওয়া নবকুমারকে দেখে কপালকুণ্ডলার মন বিগলিত হয়ে যায়। নবকুমারকে নরবলির হাত থেকে বাঁচায় সে। এরপর কপালকুণ্ডলার পরিবর্তন দেখে কী করেন সেই কাপালিক? এভাবেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সৃষ্ট এই তিন চরিত্রের জীবনের টানাপোড়েন নিয়ে এগিয়েছে ‘কপালকুণ্ডলা’ ধারাবাহিকের গল্প।
ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র সৌমী চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘কপালকুণ্ডলা’র মতো একটি বিশিষ্ট চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে বেশ খুশি তিনি। কারণ গাছপালা, পশুপাখি, সমুদ্র সৈকত এসবই তাঁর বড্ড প্রিয় যে! ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসে যে সমস্ত জায়গার উল্লেখ রয়েছে, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে সেসবও দেখানো হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রযোজক রাজ চক্রবর্তীও বেশ আশাবাদী এই ধারাবাহিকটি নিয়ে। তাঁর কথায়, বঙ্কিমচন্দ্র রচিত ‘কপালকুণ্ডলা’ এক কালজয়ী গল্প। সৌমী এই চরিত্রকে যথাযথ ফুটিয়ে তুলতে পারবে। ‘কপালকুণ্ডলা’ শুরু হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরের ২ তারিখ থেকে। সোম থেকে শনি, রোজ রাত সাড়ে ৮টায় দেখা যাবে এই ধারাবাহিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.