Advertisement
Advertisement

Breaking News

জানেন, কোন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিচারকদের মন জয় করেছিলেন বিশ্বসুন্দরী মানুষী?

সরকারের 'বেটি বাঁচাও' প্রকল্পকে সফল করলেন বিশ্বসুন্দরী।

Know which question Manushi Chhillar was asked in the finale of Miss World contest
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 19, 2017 10:40 am
  • Updated:September 23, 2019 3:41 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন মানুষী চিল্লার। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পর বিশ্ব দরবারে ফের সেরা সুন্দরীর মুকুট মাথায় তুলেছেন হরিয়ানার তরুণী। আর সেই মুকুট নিজের দেশকেই উৎসর্গ করছেন মানুষী। তাঁর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁর রাজ্যবাসীও। হরিয়ানার মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী কবিতা জৈন বলছেন, মানুষী চিল্লারই প্রমাণ করে দিলেন সরকারের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ অভিযান কীভাবে সাফল্যের পথেই হাঁটছে।

[১৭ বছর পর ফের বিশ্বসুন্দরীর মুকুট উঠল ভারতীয় তন্বীর মাথায়]

বিশ্বসুন্দরী হওয়ার পর থেকেই মানুষীর মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা উপচে পড়ছে। বলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে রাজনৈতিক মহল, সকলেই অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাঁকে। শনিবার চিনের সানিয়া সিটি এরিনায় বর্ণাঢ্য মঞ্চে ভারতের জয়গাথা রচনা হয়। আর তারপরই মানুষীকে এমন দারুণ অনুভূতি আর সাফল্য উপভোগ করতে বলে টুইট করেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও।

Advertisement

হরিয়ানার সমাজে শিশু কন্যাদের জীবন সাধারণত খুব মসৃণ হয় না। অনেক বাধা বিঘ্ন, পুরুষদের চোখ রাঙানি পেরিয়ে বড় হতে হয় মেয়েদের। আর ঝাঝার জেলার বামনোলি গ্রামে জন্মানো মানুষীর মডেলিংয়ের ইচ্ছেপূরণ হওয়া তো ছিল আরওই কঠিন। তবে দিনের শেষে এসেছে সাফল্য। তাই মন্ত্রী কবিতা জৈন মনে করছেন, আগামীদের জন্য মানুষী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দিলেন। কোনও বাধাই যে অভেদ্য নয়, তাই প্রমাণ করলেন। আর সেই লক্ষ্যে সঠিক পথেই এগোচ্ছে সরকারের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প। আর এই সাফল্যই রাজ্যে নারী মর্যাদা ও সম্মান বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন মন্ত্রী। ২১ বছরের তরুণীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টারও।

[উত্তরবঙ্গে শুটিংয়ে গিয়ে গুরুতর জখম রুক্মিণী, কেমন আছেন অভিনেত্রী?]

তবে জানেন কি, কোন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার ফাইনালের মঞ্চে বিচারকদের মন জয় করেছিলেন তন্বী মানুষী? তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কোন পেশায় সবচেয়ে বেশি আয় করবেন বলে মনে হয় তাঁর। উত্তরে মানুষী বলেন, “আমার সবচেয়ে কাছের মানুষটি আমার মা। তাই আমার মনে হয় একজন মা-ই সবচেয়ে বেশি ভালবাসা আর মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। আর শুধু অর্থটাই বড় কথা নয়, কারও থেকে ভালবাসা ও সম্মান পাওয়াটাও সমান জরুরি। মায়েরা সন্তানের জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করে দেন। তাই সম্মান ও বেতনের যদি কেউ সবচেয়ে বেশি যোগ্য হন, তবে তিনি অবশ্যই একজন মা।” আর এভাবেই বিচারক ও দর্শকদের হাততালি কুড়িয়ে নেন মানুষী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement