সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : সদ্য কোটিপতি হওয়া ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র সেই খিচুড়ি আন্টি ববিতা তাড়েকে মনে আছে নিশ্চয়! দিন কয়েক আগেই যিনি কেবিসির মঞ্চে জীবনযুদ্ধের কাহিনি শুনিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন খবরের শিরোনামে। সেই খিচুড়ি আন্টিই এবার গ্রামবাসীদের ভোট দিদিমনির ভূমিকায়।
সামনেই বিধানসভা ভোট মহারাষ্ট্রে। ভোট কেন দেওয়া উচিত। আর এই ভোট দেওয়ার অধিকার কী করে সঠিকভাবে প্রয়োগ করবেন ভোটাররা, যাবতীয় বিষয়ে ভোটের আগে সচেতন করবেন অমরাবতীর আনজান গাঁও সুরজি গ্রামের ববিতা তাড়ে। শুধু নিজের গ্রামের বাসিন্দাদের নয়, গোটা অমরাবতী জেলা জুড়েই চলবে ভোট দিদিমণির এই ক্লাসরুম। পৌঁছে যাবেন জেলার গ্রাম-শহর-মফস্বলের মানুষদের কাছে। কারণ খোদ নির্বাচন কমিশন ববিতাকে বেছে নিয়েছে তাদের প্রতিনিধি হওয়ার জন।
‘খিচুড়ি আন্টি’ ববিতা তাড়ের খ্যাতির শুরু কউন বনেগা ক্রোড়পতি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে। তার আগে মাত্র ১৫০০ টাকার বেতনে মাসভর স্কুল শিশুদের জন্য মিড ডে মিলের খিচুড়ি রাঁধতেন ববিতা। গ্রামের শিশুরা তাই আদর করে তাঁর নাম দিয়েছিলেন খিচুড়ি কাকিমা। সেই ববিতাই হঠাৎ কেবিসিতে গিয়ে জিতে নিলেন কোটি টাকা। গোটা দেশ জানল তাঁর নাম। জানল তাঁর কাজের কথা। গ্রামের কথাও। আর ববিতার এই খ্যাতিকেই কাজে লাগিয়েই অমরাবতীর ভোটারদের কাছাকাছি পৌঁছতে চায় নির্বাচন কমিশন।
ভোটারদের ভোট প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিক্ষিত করার জন্য যে ‘সিস্টেমেটিক ভোটারস এডুকেশন অ্যান্ড ইলেকটোরাল পার্টিসিপেশন’ (এসভিইইপ) প্রোগ্রাম পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন, ববিতা তারই অধীনে কাজ করবেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানান অমরাবতীর জেলা প্রশাসনের মুখ্য আধিকারিক মনীষা খতরি। ২১ অক্টোবর ভোটের আগে ববিতা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি নিজে জানিয়েছেন, “ভোটদান আমাদের জাতীয় কর্তব্য। সবার উচিত এতে যোগ দেওয়া। আমি চেষ্টা করব কমিশন আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করার। জেলার সমস্ত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে তাঁদের ভোটের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করব আমি।” খতরি জানিয়েছেন, যেসমস্ত এলাকায় ভোটারদের ভোট দেওয়ার সংখ্যা কম, সেই সব এলাকাতেই বিশেষ করে এসভিইইপের প্রকল্পে জোর দেয় নির্বাচন কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.