রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সৈকত শহর থেকে সোজা দাদাগিরির মঞ্চ কাঁপালেন ঘটিগরম গরম কাকু। মহারাজকে খাওয়ালেন নিজের হাতে তৈরি ঘটিগরমও। চোখের সামনে সমুদ্রের গর্জন। ফুরফুরে বাতাস। এমন এক পরিবেশে সৈকতের ধারে রেলিংয়ে বসে তেলেভেজা, ঘটিগরমের স্বাদ পর্যটকদের মেজাজ বদলে দেয়। এতে জিভ খুশি হলেও অজান্তে শরীরের ক্ষতি হয়। খবরের কাগজের মোড়কে দেওয়া খাবারে বিষাক্ত কালি শরীরে ঢোকে। তার থেকে যত সমস্যা। সৈকত শহরে ঠোঙার দূষণ রুখতে অনেক আগেই এগিয়ে এসেছেন ঘটিগরম বিক্রেতা স্বরাজ ভট্টাচার্য।
তিনি খবর কাগজের পরিবর্তে দিঘায় আসা পর্যটকদের অ্যাসিড ফ্রি কাগজে ঘটিগরম খাইয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন। একডাকে তাঁকে চেনেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। থাকার জন্যে জায়গা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার ডাক পড়েছিল ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে। দিঘা থেকে সোজা দাদাগিরির মঞ্চে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে খাইয়ে এলেন স্পেশ্যাল ঘটিগরম। ঘটিগরম খেয়ে খুশি মহারাজ ও অন্যান্যরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হয়ে ভালই খেললেন দাদাগিরিতে।
দিঘার সমুদ্র সৈকতে গলায় বাক্স ঝুলিয়ে ঘটিগরম বেচেন স্বরাজ ভট্টাচার্য। দিঘা ঘুরে গিয়েছেন, আর তাঁকে চেনেন না– এমন পর্যটক প্রায় নেই বললেই চলে। রামনগর ১ ব্লকের ঠিকরাতে একটি ছোট্ট ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি। একটি জায়গা পাট্টা নিয়ে বাড়ি বানানোর ইচ্ছে ছিল দীর্ঘদিনের। দিঘা সফরে এসে স্বরাজ ভট্টাচার্যের থেকে খেয়ে জায়গা দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একসময় স্বরাজবাবু বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরি করতেন। কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে মন কষাকষির কারণে চলে আসেন দিঘার কাছে রামনগরে। বছর দশেক ধরে তিনি সৈকত শহরে ‘ঘটিগরম কাকু’ নামেই পরিচিত হয়েছেন। এক ডাকে এখন দিঘায় আসা পর্যটকরা চেনেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.