সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিআরপির তালিকায় সর্বদাই প্রথম সারিতে থেকেছে ‘কৃষ্ণকলি’। টানা এক বছর প্রথম পাঁচে থাকা খুব একটা সহজ কাজ নয়। বিশেষত বাংলা ধারাবাহিকের দুনিয়ায়। কারণ এখানে মাঝে মধ্যেই ভোল বদলায় বাংলা সিরিয়াল। কিন্তু সব ধারাবাহিককে পিছনে ফেলে ২০১৯ সালে সেরা জনপ্রিয় ধারাবাহিকের জন্য ‘কৃষ্ণকলি’ পায় পুরস্কার। সেরা চিত্রনাট্যর পুরস্কারও জেতে ধারাবাহিকটি। নিখিল এবং শ্যামা পেয়েছিলেন সেরা অনস্ক্রিন কাপলের তকমা। এবার সেই ধারাবাহিকই হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী মাঝে একটি বর্ণবিদ্বেষের চোরা স্রোতও বিদ্যমান।
‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিক শুরু হয়েছিল এক শ্যামাঙ্গী মেয়ের স্ট্রাগলের গল্প নিয়ে। কালো গ্রামের মেয়ে শ্যামা শহরে বড়লোকের বাড়ির বউ হয়ে আসে। কিন্তু কোনওভাবেই মানিয়ে নিতে পারে না। কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে থাকে সে। শেষে সংসারে সেই হয়ে ওঠে সর্বেসর্বা। গায়িকা হিসেবে খ্যাতি হয় তার। এমনই সময় বিষপ্রয়োগে সে মারা যায়। কিন্তু শ্যামার মৃত্যু মেনে নিতে পারে না স্বামী নিখিল। সে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে তার স্ত্রী ফিরে আসবে। একদিন হঠাৎ রাস্তায় সে শ্যামার মতোই একজনকে আবিষ্কার করে। বাইকে সওয়ার সেই তন্বীকে দেখে তার পিছু নিতে চেষ্টা করে নিখিল। শেষে সেই তন্বী হেলমেট খুললে দেখা যায়, যেন অবিকল শ্যামা। শুধু গায়ের রংটাই যা বদলে গিয়েছে। মুখশ্রী হুবহু এক। তবে এই মেয়ে কিন্তু শ্যামার মতো শাড়ি পরিহিতা বঙ্গবধূ নয়, আদ্যোপান্ত স্মার্ট একজন আধুনিকা।
গল্পের এই প্লটবদলই ‘কৃষ্ণকলি’কে হাসির খোরাক করে তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ লিখেছেন, “বিষ খাওয়ার পর মানুষ মরে না ফর্সা হয়ে যায়। কৃষ্ণকলি না দেখলে জানতেই পারতাম না।” কেউ আবার লিখেছেন, “একদিনে ফর্সা হয়ে গেল, বাইক চালানো শিখে গেল, মডার্ন হয়ে গেল, সিরিয়ালের নাম কৃষ্ণকলি বাদ দিয়ে এবার ফর্সাকলি রাখুন। আর কত কি দেখব!” তবে কেউ এর মধ্যে বর্ণবিদ্বেষও খুঁজে পেয়েছেন। “কালো মেয়ের টিআরপি কি পড়তে শুরু করেছিল, তাই ফর্সা মেয়েকে আনতে হল? নাকি টিআরপি আরও বাড়ানোর অভিপ্রায়?” প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.