সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা মুখ অগ্নিদগ্ধ। ঘাড়ের কাছ থেকে পিঠের দিকটাও খানিক পুড়েছে। নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন বাংলার এই প্রতিভাধর ছেলেটি। কারণ, তিনি জন্মান্ধ। তবে ঈশ্বরের দয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। আজ বাংলার সেই প্রতিভাধর ছেলেই মু্ম্বইয়ের রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে গান গেয়ে কাঁদালেন বিচারকদের। রানু মণ্ডলের পর ভাইরাল হল বাংলার আরও এক প্রতিযোগীর গানের ভিডিও।
বাঁকুড়ার ছেলে অবিনাশ বাউরি। জন্মান্ধ হলেও ছোট থেকেই গানের প্রতি ঝোঁক রয়েছে তাঁর। গান শুনতে ও গাইতে ভালবাসেন। আর গান গাওয়ার সেই অদম্য নেশাই তাঁকে নিয়ে গেল জনপ্রিয় গানের রিযেলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলে। শুরু হতে চলেছে ইন্ডিয়ান আইডলের নয়া মরসুম। তার আগে শোয়ের তিন বিচারক অনু মালিক, নেহা কক্কর এবং বিশাল দাদলানি প্রথাগতভাবে অডিশনের বাছাই পর্বে ব্যস্ত। সেরকমই একটি অডিশনের রাউন্ডে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে অবিনাশ বাউরি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা তপন বাউরি। সেই ছেলেই অডিশনের মঞ্চে গান শুনিয়ে অবাক করে দিলেন বিচারকদের। এমনকী, অবিনাশের গান শুনে শো চলাকালীনই বেজায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন নেহা।
মৃত্যুর মুখ থেকে অবিনাশের ফিরে আসার কাহিনি শুনে বাঁধ মানেনি বিচারকের আসনে বসা নেহা, বিশাল এবং অনু মালিকের চোখের জল। ঠিক কী হয়েছিল? জন্ম থেকেই অন্ধ হওয়ায় হতাশায় ভুগতে থাকেন অবিনাশ। দুনিয়াকে চোখে একবার দেখার, জানার ইচ্ছে তাঁকে কুরে কুরে খাওয়া শুরু করে। তাই নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। মা-বাবা না থাকার সুযোগ নিয়ে একদিন ঘরে থাকা কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন নিজের মুখে। পড়শিরা টের পেয়ে ছুটে আসেন। তড়িঘড়ি অবিনাশের মা-বাবাও এসে হাসপাতালে ভরতি করান তাঁকে। সেই যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান বাঁকুড়ার অবিনাশ বাউরি। ছেলের এই কাহিনি নিজমুখে বিচারকদের জানান অবিনাশের বাবা তপন বাউরি।
রাহাত ফতে আলি খানের ‘তু না জানে আস পাস হ্যায় খুদা’ গানটি গান অবিনাশ। যা শোনার পর রীতিমতো বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের এই ছেলেকে নিজের আসন থেকে উঠে গিয়ে বুকে জড়িয়ে নেন সংগীতপরিচালক অনু মালিক। তারপর বিচারকরা যা বললেন, নিজেই দেখে নিন এই ভিডিওতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.