সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ননদ আর বউদিদের সম্পর্ক না কি কোনও দিনই খুব একটা সোজা পথে চলে না! তা সে আম-আদমির কুঁড়েঘর হোক বা নবাব-বেগমের প্রাসাদ! তারই অনুরণন সম্প্রতি উঠল পটৌডি নবাবদের খানদানেও! দাদার দ্বিতীয় বউয়ের প্রথম সন্তান সম্ভাবনার ব্যাপারে খুব একটা সোজা পথে হাঁটল না সোহা আলি খানের মন্তব্য!
হয়েছে কী, এখন তো কেবল দিন-রাত করিনা কাপুর খানের গর্ভাবস্থা নিয়েই কথা চলছে। ফলে, যেখানেই যাচ্ছেন পটৌডিদের বাড়ির কেউ না কেউ, মুখ খুলতে হচ্ছে তাই নিয়েই! সোহা আলি খানের সঙ্গেও সেটাই হল। এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি পড়লেন দ্বিতীয় বউদির গর্ভাবস্থা নিয়ে প্রশ্নের মুখে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হল, তাঁরা কেউ কেন করিনার বিশ্রামের ব্যাপারটা মাথায় রাখছেন না? এখনও কেন তাঁরা করিনাকে কাজ করতে দিচ্ছেন?
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রশ্নটা মোটেই সহজ ভাবে নিতে পারেননি সোহা। এমনিতেই তাঁর নিজের কেরিয়ার বলে কিছু নেই! সব সময়েই সব জায়গায় দাদা-বউদির প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হয়। ফলে, বিরক্তি তাঁর একটা ছিলই! তার উপরে এবারের প্রশ্নটা সোহাকে আঘাত দিল অন্য ভাবে! যেন তাঁরা করিনাকে এখনও খাটাচ্ছেন- এমন একটা ভাব!
ফলে, সোহার উত্তরও এল খুব কাঠ-কাঠ ভাবে! ”আমার অনেক বন্ধু আছেন যাঁরা আট মাসের গর্ভাবস্থাতেও কাজ করেছেন! করিনাও করছে! কী এসে গেল তাতে? যতক্ষণ পর্যন্ত ও সুস্থ আছে, এটা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার আছে কি?” একেকটি শব্দে যেন বিস্ফোরণ ঘটালেন সোহা!
এবং, স্বাভাবিক ভাবেই চমকে উঠলেন সবাই! এ কী বলছেন সোহা! অসুস্থ হয়ে পড়লে তবেই করিনাকে নিয়ে মাথা ঘামাবেন তাঁরা, তার আগে নয়?
নিন্দুকদের বক্তব্য, এর মধ্যে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই! বউদিদের সঙ্গে কোনও দিনই সোহার সম্পর্ক ভাল নয়! সইফ আলি খানের প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের সম্পর্কেও একদা বেশ খারাপ কথাই বলেছিলেন সোহা। যখন অমৃতা-সইফের সম্পর্ক ভেঙেছিল, সেই সময়ে। তখন বিবাহবিচ্ছেদের জন্য অমৃতার মেজাজ এবং পারিবারিক অশান্তিকেই দায়ী করেছিলেন সোহা। তখন সবাই ভেবেছিলেন, তিনি দাদার পক্ষ নিচ্ছেন! কিন্তু, এবারের মন্তব্যে বোঝা গেল, বিদ্বেষটা আসলে বউদিদের নিয়েই!
তবে, শেষ পর্যন্ত বুঝতে পেরেছিলেন সোহা যে বেফাঁস মন্তব্য করা হয়ে গিয়েছে! তাই সুর নরম করেন তিনি! বলেন, করিনা আধুনিকা নারীর দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন গর্ভাবস্থাতেও এত পরিশ্রম করে!
এটা কি দাদার বকুনির ভয়?
কে জানে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.