সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচ্ছা, নম্বর ডায়াল করতে গিয়ে যদি কখনও অন্য নম্বরে ফোন লেগে যায়, তাহলে! ‘রং নম্বর’ শব্দটার উৎপত্তিও সেখান থেকেই। তবে না, কোনও টেকনিক্যাল শব্দের কথা এখানে হচ্ছে না। কথা হচ্ছে ‘রং নম্বর’ ছবির। দুই রুমমেট। স্যান্ডি এবং জয়। একজন কবি, অপরজন উঠতি গায়ক। হবু রকস্টার বললেও ভুল হয় না বইকী! তবে, ব্যান্ড থাকলেও রকস্টার সুলভ ভাবের লেশমাত্র নেই তার মধ্যে। স্বচ্ছ্বল পরিবারের ছেলে স্যান্ডি, যে কিনা গান বাঁধার চেষ্টায় বিভোর। অপরদিকে, জয় একটা স্কুলের পার্টটাইম শিক্ষক হিসেবে কাজ করে। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। স্যান্ডির এক্কেবারে বিপরীত। বড় লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখে সে। তবে, এই দুই রুমমেটের বন্ধুত্বটা খাসা। এক ভাড়াবাড়িতে কবি এবং গায়কের অগোছালো জীবন। তবে, এই দুই শিল্পীর শিল্পসত্ত্বার মাঝে হঠাৎ প্রেমিকসত্ত্বা জেগে ওঠে। গল্পের মোড় ঘোরে জয়ের বাঁধা গান যখন স্যান্ডি গায়। আর সেই গান ইউটিউবে আপলোড হয়ে সাড়া ফেলে দেয়।
[আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, জানেন কোন সিরিয়ালে?]
জয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌরভ দাস এবং রকস্টার স্যান্ডির চরিত্রে দেখা যাবে সমদর্শী দত্তকে। অন্যদিকে, এই দুই বন্ধুর প্রেমিকার চরিত্রে রয়েছেন সায়নী ঘোষ এবং দুর্গা সাঁতরা। দুই বন্ধুর জীবনে নিজের শিল্পসত্ত্বা টিকিয়ে রাখার সঙ্গে সঙ্গে প্রেমটাও আসে বেশ কাব্য করে। স্যান্ডি প্রেমে পড়ে দুর্গার। দুর্গা খুবই মিষ্টি মেয়ে। সহজ-সরল। রকস্টারের সঙ্গে একটা সাধারণ মেয়ের প্রেম। অন্যদিকে, জয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় সায়নীর। সায়নীকে এখানে বেশ দাপুটে গোছের একটি মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে। আর জয় শান্ত স্বভাবের বিদ্রোহী কবি। লেখালেখিই যার ধ্যানজ্ঞান। সায়নী-জয় এবং স্যান্ডি-দুর্গা এই দুই জুটিতেই একে অপরের বিপরীত। কীভাবে এগোবে তাঁদের ‘মিসম্যাচড’ প্রেম? টুইস্টটা এখানেই।
ছবিতে, নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে সমদর্শী বলেন, “আমার চরিত্রের নাম স্যান্ডি। আমি ছবিতে একটা রকস্টারের চরিত্রে অভিনয় করছি। যার জন্য বেশ ড্রাম, গিটার নিয়ে বসতে হত আমাকে প্রায়ই। আমি, সৌরভ, সায়নী যেহেতু একসঙ্গে শুটিংয়ের সময় চুটিয়ে মজাও করেছি। সেটে সবসময়ই মজা হত।” সায়নীর কথায়, “পুরো সেট জমিয়ে রাখার দায়িত্বটা সৌরভ আর সমদর্শীই নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিয়েছিল। আমাদের কাউকে বিন্দুমাত্র বোর হতে দেয়নি ওরা!”
[আরও পড়ুন: বাবার অসুস্থতার গুজব নিয়ে এ কী বললেন মিঠুন-পুত্র?]
ছবির পরিচালনা করেছেন শুভেন্দু পণ্ডিত। ‘রং নম্বর’ দিয়েই তিনি পরিচালকের খাতায় নাম লেখালেন। প্রযোজনায় স্বস্তিকা ফিল্ম প্রোডাকশন। এই প্রথম তাদের ব্যানারে মুক্তি পাবে ফিচার ছবি। শুটিং হয়েছে কলকাতাতেই। ক্যামেরার নেপথ্যে ইন্দ্রনীল সরকার। সদ্য মুক্তি পেয়েছে রাহুল মজুমদারের বাঁধা ‘রং নম্বর’-এর দ্বিতীয় গান ‘ফিরব বললে ফেরা যায় নাকি’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.