সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিনা কাটেই ছাড়পত্র পেল পরিচালক রঞ্জন ঘোষের ‘রংবেরঙের কড়ি’। বহাল রইল রাম-সীতার নাম। তাদের ‘ডিভোর্স’ও রইল অক্ষত। একটি দৃশ্য বাদ না দিয়েই সোহম-অরুণিমাদের এই ছবিতে শংসাপত্র দিয়ে দিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন।
[OMG! ‘বিগ বস ১১’-এর বিজেতা হবেন এই প্রতিযোগী]
সাধারণ মানুষের জীবনে নোট বাতিলের প্রভাব নিজের ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছিলেন পরিচালক রঞ্জন। যেখানে এক উপজাতি স্বামী-স্ত্রীর চরিত্র তুলে ধরেছেন সোহম-অরুণিমা। চিত্রনাট্যে দু’জনের নাম রাম ও সীতা দেওয়া হয়েছে। যারা একে অন্যের থেকে ডিভোর্স চেয়ে বসে। প্রথম থেকেই বিষয়টি নিয়ে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন পরিচালক। আশঙ্কা ছিল সিবিএফসির সংস্কারের ফাঁসে না আটকে যায় তাঁর ছবিটি। আশঙ্কা যে অমূলক ছিল না তা সিনেপ্রেমীরা ‘পদ্মাবত‘, ‘এস দুর্গা’র মতো ছবির ক্ষেত্রেই দেখেছেন। এর মধ্যেই আবার রাম-সীতার নাম সিনেমায় দেখানোয় প্রতিবাদে মুখর হয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। ছবির চরিত্রর নাম হিন্দু দেব-দেবীর নামে রাখা যাবে না। পোস্টার নিয়ে শহরে বিক্ষোভে শামিল হয় মঞ্চের সদস্যরা। ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকিও দেয়।
[বাড়ছে জটিলতা, রাজস্থানের পর এবার গুজরাটেও নিষিদ্ধ ‘পদ্মাবত’]
কিন্তু এ বিক্ষোভ সত্ত্বেও সিবিএফসি বৈতরণি বিনা বাধায় পেরিয়ে গেল রঞ্জনের ছবি। সিবিএফসির ভূমিকায় বেজায় খুশি পরিচালক। পক্ষপাতহীনভাবে তাঁর ছবিকে দেখা হয়েছে। কোনও অযাচিত বিক্ষোভের কাছেও মাথা নোয়ায়নি সেন্সর। সিবিএফসির এ ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসনীয় বলে জানান রঞ্জন। সিবিএফসির রিজিওনাল অফিসার সম্রাট বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, সেন্সর কেবল নিজের দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র। তা প্রশংসিত হওয়ায় খুশি তিনিও। তবে ঘটনায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সিনেমার কিছুটা হলেও স্বাধীনতা রয়েছে। আর তা বজায় থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বিজ্ঞাপনে না, কোটি টাকার অফার ফেরালেন সুশান্ত]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.