সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা পরপর দুই বার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। কংগ্রেসের জনপ্রিয় নেতা তো ছিলেনই, ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। বিলাস রাও দেশমুখ নামটা বললে এখনও মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা স্মৃতিচারণায় মেতে ওঠেন। বাবার সে পথ কখনও অনুসরণ করেননি রীতেশ দেশমুখ। বরং গ্ল্যামার জগতে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কেবল হিন্দি সিনেমাই নয়, মারাঠি ছবিতেও নিজের প্রভাব বিস্তার করেছেন রীতেশ। তবে রক্তের টান শেষপর্যন্ত বোধহয় তাঁর পক্ষেও উপেক্ষা করা সম্ভব হল না। সূত্রের খবর মানলে এবার পারিবারিক ঐতিহ্য মেনে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন অভিনেতা।
অভিনয় জগৎ থেকে রাজনীতির ময়দানে আসা নতুন ঘটনা নয়। এখনও সংসদে বিরাজমান জয়া বচ্চন, হেমা মালিনী, পরেশ রাওয়াল, শত্রুঘ্ন সিনহারা। জনস্বার্থে কাজ করার পাশাপাশি অভিনয়ও দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে রীতেশের রাজনীতির ময়দানে আসার খবর মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তাঁর পরিবার মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতদিন বাবার বিলাস রাও দেশমুখের ফেলে যাওয়া কাজের দায়িত্ব সামলেছিলেন বড়ছেলে অমিত দেশমুখ। এবার ভাইয়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে চান রীতেশও। লাতুরের প্রতি আলাদা আনুগত্য রয়েছে দেশমুখ পরিবারের। শোনা যাচ্ছে, সেখান থেকেই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন রীতেশ।
[ব্রেক-আপ হলেই কি মারমুখী হতে হবে? প্রশ্ন ক্ষুব্ধ সায়ন্তিকার]
হিন্দি সিনেমার থেকেও মারাঠি সিনেমায় বেশি সম্মান কুড়িয়েছেন রীতেশ। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারাও তাঁকে ঘরের ছেলেই মনে করেন। সেক্ষেত্রে যদি কংগ্রেসের হয়ে রীতেশ লোকসভায় লড়েন, তা বিরোধী দলের বাড়তি লাভ হবে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তা বলে সিনেমা ছাড়ছেন না রীতেশ। ইতিমধ্যেই ‘টোটাল ধামাল’-এর জন্য শুটিং চলছে। আবার ‘হাউসফুল ফোর’-এও রয়েছেন অভিনেতা।
[কেমন করে অশীতিপর ব্যোমকেশ হলেন আবির, ফাঁস রহস্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.