Advertisement
Advertisement

বাঙালির মুখে কি হাসি ফোটাতে পারল ‘আবার বসন্ত বিলাপ’?

হলে যাওয়ার আগে অবশ্যই একবার চোখ বুলিয়ে নিন।

Review of Bengali Comedy movie 'Abar Basanta Bilap'
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 15, 2018 6:05 pm
  • Updated:July 15, 2018 6:05 pm  

চারুবাক: রাজেশ দত্ত এবং ইপ্সিতা রায় সরকার- পরিচালক জুটি বছর দুই আগে ‘৩৪ গড়পার লেন’ নামে একটি মধ্যমানের বাংলা ছবি বানিয়েছিলেন। এবার বানালেন অতি নিম্নমানের ‘আবার বসন্ত বিলাপ’। প্রায় সোয়া দু’ঘণ্টার এই ছবিকে এবার বসন্ত প্রলাপ নাম দেওয়া যেতেই পারে।

[  ফের বলিউডে স্বস্তিকা, কোন ছবিতে দেখা যাবে জানেন? ]

Advertisement

দীনেন গুপ্তর ‘বসন্ত বিলাপ’ ছবিতে তিন তরুণের সঙ্গে প্রতিবেশী হস্টেলের তিন তরুণীর টক-ঝাল-মিস্টি মাখানো প্রাক-প্রণয় পর্ব নিয়ে বেশ জমজমাট সিচ্যুয়েশনাল কমেডি দেখা গিয়েছিল। আর রাজেশ-ইপ্সিতা জুটি এটা কী করলেন! না হল সিচ্যুয়েশনাল কমেডি, না হল অন্য কিছু। নামী কমেডিয়ানদের ক্যামেরার সামনে রাখলেই কি ভাল কমেডি হয়? প্রায় সারাক্ষণ পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় টুপির আড়ালে এক্সপ্রেশন ঢাকলেন। খরাজ মুখোপাধ্যায় কণ্ঠস্বর চেপে নবদ্বীপ হালদার হয়ে ওঠার ব্যর্থ চেষ্টা করলেন। মুনমুন সেনের পড়তি সৌন্দর্য ক্যামেরা ধরল এমন বিস্তৃত অ্যাঙ্গেলে যে দর্শক বিরক্ত হলেন। মীর আর সুমিত সমাদ্দারের মধ্যে সমপ্রেমের খেলাটি অশালীন মনে হল। সুমিতকে দেখে মীরের প্রতিক্রিয়া অমন কেন! অবিবাহিত যুবক পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তবু মুনমুন সেনের প্রতি প্রেমের প্রকাশে কমেডির পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। আর খরাজ তো প্রায় সর্বক্ষণই মুনমুন দর্শনে হাত ও হাঁটু কাঁপিয়ে গেলেন। গল্পে রোম্যান্টিক চাটনির জন্য রাখা হয়েছে অনুভব কাঞ্জিলাল নামে একটি বেচারি মার্কা নতুন মুখ আর দেবলীনা কুমারকে। তাঁরা দুজনেই এমন কোনও সিচুয়েশন পেলেন না যেখানে প্রেম আর কমেডি একাকার হতে পারত।

[  দেশভাগের আবহে কেমন হল আদিল-পাওলির ‘মাটি’র টান? ]

আসল গলতি তো চিত্রনাট্যেই। ‘বসন্ত বিলাপ’ নামে প্রকাশনী সংস্থার বই ছাপা নিয়েই হরেক কিসিমের ঘটনা তৈরি করা যেত। যেটা পারেননি পরিচালক জুটি। পুরোটাই নির্ভর করেছেন অভিনেতাদের উপর। কিন্তু তাঁদের সামনে পরিবেশটা তৈরি করে দিতে হবে তো! তাঁরা কেউই তুলসী চক্রবর্তী, হরিধন, রবি ঘোষ বা নিদেনপক্ষে অনুপকুমারও নন। চিত্রনাট্যের বোঝা ঘাড়ে না চাপালে এঁরা নট-নড়নচড়ন। সুতরাং কমেডির দফারফা হয়ে বিলাপ একেবারে প্রলাপে রূপান্তরিত। আর অন্ধকার সিনেমাঘরে বিরক্ত দর্শকের দীর্ঘক্ষণ বিলাপ। গান নিয়ে মজা করার যে প্রিল্যুড ছবির টাইটেল কার্ড চলাকালীন দেখানো ও শোনানো হল, পুরো ছবিতে সেটা আর রইল কই! পরিচালকরা বোধহয় জানেন না কমেডি ছবি বানানোও এক ধরনের আর্ট এবং কমেডিয়ান হয়ে ওঠাও যথেষ্ট শ্রমসাধ্য। এই অজ্ঞানের ফলই ‘আবার বসন্ত বিলাপ’। বসন্তহীন, শুধুই বিলাপ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement