সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় পুরস্কার থেকে শুরু করে দাদা সাহেব ফালকে, বঙ্গবিভূষণ থেকে পদ্মভূষণ, তাঁর অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতা তাঁকে এনে দিয়েছে নানা পুরস্কার, নানা সম্মাননা। দীর্ঘ পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বড়পর্দা থেকে নাটকের মঞ্চে আজও মুগ্ধ করে চলেছেন দর্শকদের। ভারতীয় ছবির জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। তবে শুধু অভিনয়ই নয়, তিনি বাঙালির স্টাইল আইকন। তাঁর স্বকীয়তায় তিনি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হয়ে উঠেছেন আন্তর্জাতিক। অপু থেকে তিনি এখন পোস্তর দাদু হলেও বাঙালি জনমানসে তিনি এভারগ্রিন। তিনি বাঙালির আন্তর্জাতিক অহঙ্কার। তিনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
[‘দঙ্গল’-এর মতো ছবি আরও চাই, মোদির কাছে আবদার চিনা প্রেসিডেন্টের]
এবার আন্তর্জাতিক স্তরে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান ‘লেজিয়ঁ দ’ নর’ –এ ভূষিত হলেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এর আগে ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রকের ‘অফিসিয়ে দে’ জার এ মেত্রিয়ে’ সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। ১৮০২ সালে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট চালু করেছিলেন এই পুরস্কার। ১৯৮৭ সালে সত্যজিৎ রায় ভূষিত হয়েছিলেন এই সম্মানে। তিরিশ বছর পর সেই শিরোপা পেলেন তাঁর সবচেয়ে পছন্দের অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তবে শুধু সত্যজিৎ রায় বা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নন, আরও দুজন বাঙালি রয়েছেন এই তালিকায়। তাঁরা হলেন পণ্ডিত রবিশংকর ও মৃণাল সেন। তবে এই প্রথম কোন অভিনেতা পেলেন ফ্রান্সের সর্বোচ্চ শিল্পীর সম্মান। ‘নাইট’, ‘অফিসার’, ‘কমান্ডার’, ‘গ্রান্ড ক্রস’ বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা রয়েছে ‘লেজিয়ঁ দ’ নর’ সম্মাননা। যার মধ্যে শিল্পী হিসাবে সর্বোচ্চ কমান্ডার সম্মানই পেয়ে থাকেন ফ্রান্সের শিল্পীরা। ‘অফিসার’ সম্মান আগেই পেয়েছিলেন সৌমিত্রবাবু, এবার পেলেন সর্বোচ্চ ‘কমান্ডার’।
[শাহরুখ-অনুষ্কাকে নিয়ে কি ‘জব উই মেট’-এর সিরিজ বানাচ্ছেন ইমতিয়াজ আলি?]
ছবির জগতে আসার আগে থেকেই ফ্রান্সের শিল্প সাহিত্যে মুগ্ধ ছিলেন তিনি। ওখানকার চলচ্চিত্রকার, চিত্রকর, ঔপনাস্যিকের কাজ তাঁর বরাবরই প্রিয়। তাই কবিতার দেশ থেকে সম্মান পেয়ে সত্যিই আপ্লুত তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.