Advertisement
Advertisement

পাহাড়চূড়োয় কেমন হল সৃজিতের ‘ইয়েতি অভিযান’?

হলে যাওয়ার আগে অবশ্যই একবার চোখ বুলিয়ে নিতে হবে।

Read how far Srijit is successful with ‘Yeti Obhijaan’
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 23, 2017 1:27 pm
  • Updated:July 11, 2018 4:52 pm  

বিদিশা চট্টোপাধ্যায়:  পাহাড় আছে, খাদ আছে, পাহাড়চূড়োয় বরফ আছে, কিন্তু আতঙ্ক?  হুম…সেটা পেতে গেলে বোধহয় বইটাই পড়তে হবে। ‘কাকাবাবু’ সিরিজের সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এটি দ্বিতীয় ছবি। ‘মিশর রহস্য’র পর ‘পাহাড়চূড়োয় আতঙ্ক’ নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘ইয়েতি অভিযান’।

[‘গোয়েন্দা গিন্নি’র পর এবার দ্বৈত চরিত্রে ছোটপর্দায় ইন্দ্রাণী]

Advertisement

সমস্যাটা হল আমরা যারা কাকাবাবু, ফেলুদা পড়ে বড় হয়েছি, তারা এই বিষয়ে একটু বেশি সেনসেটিভ। একটু এদিক ওদিক হলেই ভুরু কুঁচকে যায়। কারণ এটা আমাদের ছোটবেলার রসদ। বড্ড প্রিয়। সেখানে পরিচালকের কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায়। সৃজিত সেই চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন। সৌমিক হালদার ছবিটা যেভাবে শুট করেছেন সেটা স্পেক্টাকুলার। যে কোনও হিন্দি ছবির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে। দেখতে দেখতে মনে হবে শুটিং করলো কীভাবে! হাততালি প্রাপ্য গোটা টিমের। কিন্তু কাকাবাবুর গল্প তো শুধু স্পেক্টাকুলার হলেই মন ভরে না। চাই থ্রিল, চাই অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ, চাই টেনশন। সিট চেপে ধরে মনে হতে হবে এরপর কী! ছবির প্রথমভাগে প্রায় কিছুই ঘটে না। এক সন্তুর বরফের ভেতর ঢুকে যাওয়া, এবং ফ্ল্যাশব্যাকের একটি দৃশ্যে ওয়েট্রেসের হাত থেকে ট্রে উলটে ইয়েতির দাঁতের আবির্ভাব ছাড়া। ফলে এত যে বরফে হাঁটাহাঁটি ও বায়নোকুলারে চোখ রেখে দ্যাখা-তাতে দর্শকের মধ্যে উসখুসানি বাড়ে অনেকটা মিংমার মতোই। ব্যাকগ্রাউন্ডে এত মিউজিকের বাড়াবাড়ি আর গান, টেনশনটা কাটিয়ে দেয় পুরোপুরি। ন্যাচারাল সাউন্ড থাকলে বোধহয় ভাল হতো।

[ভালবাসার এক আশ্চর্য সফর ‘প্রজাপতি বিস্কুট’]

বইয়ের সঙ্গে গল্প অনেকটাই এক। দু-একটি নতুন চরিত্রের উদ্ভাবন ছাড়া। অবশ্য যেগুলো আতঙ্ক বাড়াতে কোনও সাহায্যই করেনি। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে, যিশু সেনগুপ্ত যেভাবে তুরুপের তাস হয়ে দেখা দেন, এই ছবিতে সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে ছবির স্ক্রিপ্ট। সন্তুর চরিত্রে আরিয়ান অ্যাকশন দৃশ্যে বেশ ভাল, অন্য দৃশ্যে দুর্বল। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ‘মিশর রহস্য’-এ যতটা তীব্র ও ধারালো ছিলেন, সেই মাত্রা ছুঁতে পারলেন কি? শেরপার ছোট্ট চরিত্রে ভাল লাগে দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায়কে। ফিরদৌসের কিছু করার ছিল না। বাংলাদেশের অভিনেত্রী মিম কোনও এক্স ফ্যাক্টর অ্যাড করেননি। ছবির শেষটা তিব্বতে টিনটিন থেকে না নিলেও পারতেন। সবশেষে বলি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আমাদের এক্সপেকটেশন অনেক বেশি, আশা করি পরের ছবিতে সেটা পূরণ হবে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement