সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিলল না রফাসূত্র। আর সেই কারণেই সোমবার থেকে বন্ধ সমস্ত ধারাবাহিকের শুটিং। কিন্তু সমস্যার সমাধান সূত্র যাতে বের হয়, তার জন্য চেষ্টার কোনও কসুর করেননি আর্টিস্ট ফোরামের সদস্যরা। সোমবার বিকেলে একটি সাংবাদিক বৈঠকে সেকথা জানিয়েছেন ফোরামের সদস্যরা।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, সোহম, জিৎ, অপরাজিতা আঢ্যর মতো বিশিষ্ট শিল্পীরা। ফোরামের তরফে প্রসেনজিৎ জানান, শিল্পীরা খুব চাপের মধ্যে কাজ করেন। অনেকে তো চাপ সহ্য করতে না পেরে কাজই ছেড়ে দিয়েছেন। যাঁরা আছেন, তাঁরা দিনে ১৭ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন। প্রথমে দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করতে হত। সেখান থেকে ১২ ঘণ্টা, তারপর ১৬ ঘণ্টা, আর এখন তার থেকেও বেশি কাজ করতে হয় শিল্পীদের। তবে এই সমস্যা বাংলায় প্রথম নয়। অন্য রাজ্যেও হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসেনজিৎ। তিনি বলেছেন, মুম্বইয়েও টেলিভিশনের শুটিং নিয়েও সমস্যা হয়েছে। পরে তারা শিল্পীদের নির্দিষ্ট কাজের সময় বেঁধে দেয়। বাংলাতেও তেমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফোরামের পক্ষ থেকে শিল্পীদের সাত ঘণ্টা বিশ্রামেরও দাবি তোলা হয়েছে। এছাড়া রাত ১০টার মধ্যে শুটিং শেষ করার দাবিও উঠেছে।
[ আজ থেকে বন্ধ সমস্ত বাংলা ধারাবাহিকের সম্প্রচার, বিপাকে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ]
এছাড়া আরও একটি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন আর্টিস্ট ফোরামের সদস্যরা। অভিযোগ, শিল্পীদের অনেকের টাকা বাকি রয়েছে। কিন্তু প্রযোজকরা সেই বকেয়া টাকা এখনও মেটাননি। সাধারণত মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে পেমেন্ট হয়ে যায়। কিন্তু গত তিন থেকে চার মাসের টাকা এখনও পাননি শিল্পীরা। অনেকেরই ৯০ দিনের উপর পারিশ্রমিক বাকি রয়ে গিয়েছে।
কিন্তু আর্টিস্ট ফোরামের এই দাবিতে কার্যত পাত্তাই দিল না প্রযোজকরা। তাদের পক্ষ থেকে ফোরামের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে কী আছে, তা এখনও প্রযোজকরা বা ফোরামের সদস্যরা জানাননি। তবে রফাসূত্র যে বের হয়নি তা একপ্রকার নিশ্চিত। তবে প্রযোজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিল্পীদের দাবি অন্যায্য। তাই তা মেনে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আর্টিস্টদের কথা, তাঁদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, তা মানেননি প্রযোজকরা। এদিকে প্রযোজকদের কথা, এমন কোনও চুক্তিই নাকি হয়নি।
প্রযোজক ও আর্টিস্ট ফোরামের মধ্যে এখনও কোনও রফা না হওয়ায় ভুক্তভোগী হতে চলেছে দর্শককে। কারণ শিল্পীরা জানিয়েছেন, বকেয়া টাকা না মেটালে কাজ শুরু করবেন না তাঁরা। এদিকে ধারাবাহিকগুলির অতিরিক্ত এপিসোডও চ্যালেন কর্তৃপক্ষের হাতে নেই। এরকম পরিস্থিতি চললে বাধ্য হয়েই স্লট ধরে রাখতে পুরনো এপিসোড চালাতে হবে তাদের।
[ রবিবারও কাজ হচ্ছে না স্টুডিওপাড়ায়, ধারাবাহিক বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.