সুকুমার সরকার, ঢাকা: ছিলেন লন্ডনে রাজকীয় বিয়ের আসরে। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের শুভেচ্ছাদূত তিনি। আবার শিশুদের অধিকারের জন্য সওয়াল করাও তাঁর দায়িত্ব। তাই লন্ডন থেকে সোজা বাংলাদেশ উড়ে গেলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সোজা পৌঁছে গেলেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। বাংলাতে কথা বললেন ক্যাম্পের শিশুদের সঙ্গে।
[বলিউডেও রয়েছে কাস্টিং কাউচ, এবার সরব আলিয়া]
সোমবার সকালেই লন্ডন থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান প্রিয়াঙ্কা। রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে কিছুক্ষণ কাটান তিনি। শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ১০ মিনিট ছিলেন তিনি। দুপুরের দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান। ইনানীর পাঁচতারা হোটেল রয়েল টিউলিপে গিয়ে ওঠেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে প্রথমে তিনি উখিয়ার বালুখালি ও জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি বিকেলে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন প্রিয়াঙ্কা। বুধবার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন নায়িকা। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি কক্সবাজার থেকে বেরিয়ে যাবেন নিজের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
এদিন রোহিঙ্গা সফরে বাংলাতেই শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা। ক্যাম্পের বাসিন্দা রিফাত হোসেনকে বাংলায় জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমাদের এখানে আমাকে ঘোরাবে?’ মাথা নেড়ে সম্মতি জানায় রোহিঙ্গা কিশোর। এরপর তার হাত ধরেই গোটা শিবির হেঁটে দেখেন তারকা। পরনে ছিল কালো জিনস, টি-শার্ট আর মাথায় স্কার্ফ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইউনিসেফ ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রিয়াঙ্কা আসছেন, খবরটি আগে থেকেই রটে যায়। তাই অতিথিদের গাড়ি এসে থামতেই ভিড় করেন রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা মানুষজন। সঙ্গে আরও আসেন স্থানীয় অধিবাসীরা। যে তারকাকে সবাই দেখেছেন চলচ্চিত্রে, তাঁকে কাছ থেকে এক নজর দেখার জন্য সবাই চেষ্টা করতে থাকেন। মুহূর্তেই ভিড় বেড়ে যায়। নায়িকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আগে থেকেই পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। লাঠিচার্জ করে সকলকে সরানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ পুলিশ। কিন্তু নায়িকা বাধা দেন। কাউকে এভাবে সরাতে বারণ করেন। ইউনিসেফ পরিচালিত হাসপাতালেও যান নায়িকা। সেখানে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের খবর নেন। পরিশ্রুত পানীয় জলের বিষয়ে খবর নেন।
[দুপুর ঠাকুরপোদের মন মাতাতে নয়া ভিডিও, শরীরী আবেদনে বাজিমাত ঝুমা বউদির]
এদিকে রোহিঙ্গা শিবিরের এই সফর নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হল প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে একহাত নিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। নিজের দেশে কাশ্মীরের মতো সমস্যায় কোনও হেলদোল নেই অথচ প্রতিবেশী দেশে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে গিয়ে কী প্রমাণ করতে চাইছেন তিনি? এই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। তবে নায়িকার পাশে অনেকেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁর এই কাজে গর্বও প্রকাশ করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.