সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি গায়ক। কিন্তু শুধুই গায়ক বললে তাঁকে কম সম্মান দেওয়া হবে। বরং বলা ভাল, দুই বাংলাকে সুরের সুতোয় গাঁথতে পারেন এমন এক শিল্পীর নাম প্রতীক চৌধুরী। বহুদিন পর তিনি ফের স্বমহিমায়। প্রায় দু’বছর পর গান রেকর্ড করলেন তিনি। তাও সোলো গান। জন্মদিনে অনুরাগীদের জন্য তাঁর উপহার ‘এই বাংলার নীড়ে’।
সংগীতের জগতে প্রতীক চৌধুরীর পরিচিত নাম। তাঁর ‘মন বাঁওরা’ জনগণের মন ছুঁয়েছিল। এছাড়া তাঁর গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত আজও অমলিন। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে দু’বছর তিনি রেকর্ডিং করেননি। আর এবার যখন ফিরলেন, স্বমহিমাতেই ফিরলেন। তাও আবার জন্মদিনে। অনুরাগীদের জন্য জন্মদিনের উপহার ‘এই বাংলার নীড়ে’।
[ জাতীয় পুরস্কার পাবেন ভাবতে পারেননি ‘লাদাখ চলে রিকশাওয়ালা’র পরিচালক ইন্দ্রাণী ]
শিল্পী জানিয়েছেন, এই গানটি অনেক আগেকার। শুধু সময়ের করাল গ্রাসে হারিয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই গানটি বাঙালির মন জয় করেছিল। সেই সময় গানটি লিখেছিলেন শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর দিয়েছিলেন শৈলেন মুখোপাধ্যায়। গানটির সঙ্গে দুই বাংলার এক আশ্চর্য যোগাযোগ রয়েছে। শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও শৈলেন মুখোপাধ্যায় দু’জনেই ছিলেন কলকাতার শিল্পী। আর গানটি গেয়েছিলেন মহম্মদ আবদুল জাফর। তিনি আবার ওপার বাংলার মানুষ। সেই গানটিই প্রতীক আবার নিজের মতো করে গেয়েছেন।
‘এই বাংলার নীড়ে’ গানটি গেয়েছেন অবশ্যই প্রতীক চৌধুরী। কিন্তু তাঁর সঙ্গে শৌর্য ঘটক, প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বুবাইয়ের নাম না করলে গোটা বিষয়টি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। শৌর্য ঘটক গানটি অ্যারেঞ্জ করেছেন। যদিও গানের দুনিয়ায় সবাই তাঁকে পিন্টু ঘটক নামেই চেনেন। বুবাই বাঁশি বাজিয়েছেন। কি-বোর্ড বাজিয়েছেন প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রয়ীর এই যোগ্য সঙ্গতের ফলেই প্রাণ পেয়েছে প্রতীকের ‘এই বাংলার নীড়ে’।
এই প্রসঙ্গে আরও একটি কথা বলা দরকার। প্রতীক চৌধুরীর জন্মদিনের দিনই কিন্তু তাঁর বাবারও জন্মদিন। তাই ‘এই বাংলার নীড়ে’ কিয়দাংশে তাঁর বাবার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও বটে।
[ ৫ কোটি টাকা ঋণ শোধ করতে না পেরে তিহার জেলে রাজপাল ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.