সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডে সলমন খানের প্রবেশ ঘটেছিল ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ ছবির এক সহ-অভিনেতা হিসেবে। কিন্তু হিরো হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সিনেমায়। আর প্রথম ছবিতেই তিনি সুপারহিট। সুরজ বরজাতিয়াকে তাই আজও বেশ সমীহই করে চলেন সল্লু মিঞা। তবে প্রথম ছবি এমনি এমনি পাননি সলমন। ইন্ডাস্ট্রিতে নবাগত হিসেবে বাকি সবার মতো তাঁকেও অডিশন দিতে হয়েছিল। তবেই সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তার আগে অন্য কাউকে মনোনীত করে রেখেছিলেন পরিচালক। তিনি পীযূষ মিশ্র।
সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব এই অভিনেতা। তিনি বলেছেন, তখন তাঁর বয়স কম। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবির ওই বিশেষ চরিত্রটির জন্য পারফেক্ট ছিলেন তিনি। বরজাতিয়াও হয়তো সেই কারণেই তাঁকেই অফার করেছিলেন। কিন্তু তিনি চরিত্রটিতে অভিনয় করতে অস্বীকার করেন। কেন? তা আজ ঠিকমতো মনে নেই অভিনেতার। শুধু এটুকু মনে আছে, পরিচালক তাঁকে ডেকেছিলেন। কিন্তু তিনি যাননি। ছবির জন্য প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে ততদিনে নির্বাচিত হয়ে গিয়েছেন ভাগ্যশ্রী। তিনিই নাকি চেয়েছিলেন তাঁর বিপরীতে থাকুন পীযূষ। তখন তাঁকে দেখতেও রাজপুত্রর মতো ছিল। অতএব ছবি না পাওয়ার কোনও কারণ ছিল না। কিন্তু তিনি ঘরে আসা লক্ষ্মীকে পায়ে ঠেলেছিলেন।
[ নেটদুনিয়ায় চর্চিত দীপিকার এনগেজমেন্ট রিং, দাম জানেন? ]
দিল্লিতে তিনদিনের সাহিত্য উৎসবে একথা বলেন অভিনেতা পীযূষ মিশ্র। জানান, তিনি নাকচ করে দেওয়ার পরই সেই ছবিতে অভিনয় করেন সলমন। কিন্তু থিয়েটার ছাড়েননি পীযূষ। চুটিয়ে কাজ করছিলেন সেখানে। তাই ৪০ বছর বয়সের পর বলিউডে প্রবেশ করেও সফল তিনি।
সাহিত্য উৎসবে তিনি বলেন, তিনি ৪৬ বছর বয়সে তাঁকে চিনতে শুরু করে বলিউড। তবে তার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় তাঁকে। অনিচ্ছাকৃতভাবে অনেক ছবিতে তিনি অভিনয়ও করেন। কারণ তাঁর মাথায় এটা ছিল যে বলিউডে তাঁকে একটা জায়গা তৈরি করতে হবে। আজ তাই তাঁর কাছে সব কিছু আছে। ঠিকঠাক পারিশ্রমিক পান তিনি। নামযশও হয়েছে যথেষ্ট। অভিনেতার মতে, আজ তিনি যে অবস্থায় আছেন, তা নিয়ে তিনি খুশি।
[ উমেদ ভবনে হবে প্রিয়াঙ্কার বিয়ে, এক রাতের ভাড়া জানলে অবাক হবেন ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.