সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক ধরেই চর্চায় রয়েছেন অভিনেত্রী পায়েল রোহতগি। যে কোনও বিষয়েই দুমদাম করে মন্তব্য করছেন। এবার ‘সতীদাহ প্রথা’ প্রসঙ্গে মন্তব্য করে নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হলেন। “হিন্দু ধর্মের প্রতি আঘাত হানার জন্য ব্রিটিশরা ব্যবহার করেছিলেন রাজা রামমোহনকে। হিন্দু ধর্মের সহমরণ প্রথার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছিলেন ব্রিটিশদের ‘চামচা’ রাজা রামমোহন রায়,” এমনটাই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন অভিনেত্রী পায়েল। তাঁর এহেন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় ওয়েব দুনিয়ায়। মূলত, রাজা রামমোহন রায়কে ‘ব্রিটিশদের চামচা’ মন্তব্য করায় সরগরম হয়ে ওঠে নেটদুনিয়া। রামমোহনকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যাও দেন এই অভিনেত্রী।
[আরও পড়ুন: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিয়ের হুমকি নায়িকাকে, গ্রেপ্তার যুবক]
“সতীদাহ প্রথা মোটেই বাধ্যাতামূলক ছিল না। মোঘল সম্রাটদের ধর্ষণের হাত থেকে হিন্দু মহিলাদের রক্ষা করার জন্যই চালু হয়েছিল সতীদাহ। এই প্রথা মহিলারাই বেছে নিয়েছিলেন, “নিজের পোস্টে এমনটাই লেখেন পায়েল। এরপর থেকেই সমালোচনা আরও জোরালো হয়। বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। পায়েল রোহতগির উচিত এবার নিজের বাকস্বাধীনতায় লাগাম টানা, এহেন মন্তব্যেই নেটিজেনরা ঠুকেছেন অভিনেত্রীকে। এমনকী, অভিনেত্রী যে অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী হয়ে ‘জহর ব্রত’ এবং ‘সতীদাহ প্রথা’কে গুলিয়ে ফেলেছেন এমন মন্তব্যও করেন নেটিজেনরা। রাজা রামমোহনের মতো সমাজ সংস্কারক এবং নব জাগরণের দূতকে এধরনের ভাষায় অপমান করার জন্য পায়েলকে একহাত নিতে বিন্দুমাত্র পিছপা হননি সংস্কারমনস্ক ব্যক্তিরা।
মোঘল বা ব্রিটিশদের আয়ত্তাধীন না হয়েও কেন নেপালে ১৯২০ সাল সতীদাহ প্রথা চালু ছিল, সে প্রশ্নবাণও পায়েলকে কটাক্ষ করে ছুঁড়ে দেন এক নেটিজেন। তাঁর বক্তব্য, “নেপাল তো কোনও দিনই মোঘল বা ব্রিটিশদের দ্বারা আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু ওখানেও তো ১৯২০ সাল অবধি এসম্পর্কে আপানর কী মতামত? বেশ হয়েছে বন্ধ হয়েছে…।” সাফাই গাইতে পায়েলের ব্যক্তিগত টিমের তরফে এক ভিডিও শেয়ার করা হলে সেই সমালোচনার যজ্ঞে যেন তা ঘৃতাহূতির মতোই কাজ করে।
[আরও পড়ুন: সিউড়ি আদালতে আইনজীবীর পোশাকে ঘুরছেন নাসিরউদ্দিন, ব্যাপারটা কী?]
দিন কয়েক আগেই নাথুরাম গডসেকে ‘ভারতের প্রথম দেশদ্রোহী’ বলায় কমল হাসানকে সাধ্বী প্রজ্ঞা কোণঠাসা করেছিলেন। আর এই বিষয়ে প্রজ্ঞাকে সমর্থন করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী পায়েল রোহতগি। এমনকী সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলের নাম তৈমুর রাখার জন্য করিনা কাপুরের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। হিন্দু ধর্ম নিয়ে আজকাল খানিক বেশিই মাথা ঘামাচ্ছেন পায়েল। কিন্তু কোনও ধর্ম প্রসঙ্গে মন্তব্য করার আগে তার যে আরেকটু বেশি পড়াশোনা করা দরকার, সেই পরামর্শও অভিনেত্রীকে দিয়েছেন অনেকে।
No he was a chamcha to Britishers who used him to defame the Sati tradition. Sati tradition was not compulsory but was introduced to prevent the prostitution of Hindu wives by the hands of Mughal invaders. It was the woman’s choice. #FeministsofIndia Sati was not regressive 🙏 https://t.co/sALLK2lALF
— PAYAL ROHATGI & Team -BHAKTS of BHAGWAN RAM (@Payal_Rohatgi) May 25, 2019
Truth Behind Sati Pratha in India https://t.co/x1vn5l6Xcy via @YouTube #Jauhar was an incident related to Padmavati during Mughal Khiljis invasion. Later society with d help of traitors like Raja Ram who Britishers used 2 divide society made Sati into an evil forceful practice🙏
— PAYAL ROHATGI & Team -BHAKTS of BHAGWAN RAM (@Payal_Rohatgi) May 26, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.