সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাফল্য কখনও সহজে ধরা দেয় না। ‘পথের পাঁচালি’-র জন্য সত্যজিৎ রায়কে যেভাবে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল, তা বোধহয় খুব কম লোককেই হয়েছে। কিন্তু তার ফলে যে ছবিটি তাঁর হাত থেকে বেরিয়েছে, সেটি চিরন্তন ক্লাসিক। তাই তো ৬৩ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ছবির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অপু-দুর্গা আর তাদের নিশ্চিন্দিপুরের গল্প।
বিদেশি ভাষার সেরা ১০০ ছবির তালিকা প্রকাশ করেছে বিবিসি। সেখানে ২৪টি দেশের ৬৭ জন পরিচালকের ১৯টি ভাষার ছবি স্থান পেয়েছে। তার মধ্যেই রয়েছে মানিকবাবুর এই অদ্বিতীয় কীর্তি। ‘পথের পাঁচালি’ রয়েছে ১৫ নম্বরে। প্রথম স্থান অধিকার করেছে আকিরা কুরোসওয়ার ‘সেভেন সামুরাই’। তবে ‘ওয়াইল্ড স্ট্রবেরিজ’ ও ‘ব্যাটেলশিপ পোটেমকিন’-এর মতো ছবিকে পিছনে ফেলে দিযেছে ‘পথের পাঁচালি’। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তালিকায় রয়েছে ইঙ্গমার বার্গম্যান, ফেদরিকো ফেলিনি, সের্গেই আইজেনস্টাইনের মতো বিশ্ববিখ্যাত পরিচালকের নাম।
[ ফাঁস হল ‘ভারত’ ছবিতে সলমনের লুক, চিনতে পারছেন? ]
সত্যজিৎ রায়ের প্রথম ছবি ছিল ‘পথের পাঁচালি’। আর প্রথম ছবিতেই প্রচুর বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। ছবির জন্য হিরো থেকে বেরিয়ে অভিনেতা খুঁজেছিলেন তিনি। তার জন্য টালিগঞ্জের পেশাগত অভিনেতাদের বাইরেও সন্ধান করেছিলেন। তারই ফলশ্রুতি ইন্দির ঠাকরুন ও অপু। আবহসংগীত নিয়েও তিনি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। আগোগোড়া হিন্দুস্তানী ক্লাসিকের সুর মূর্ছনায় ছবিটি সাজিয়েছিলেন পণ্ডিত রবিশংকর। কিন্তু অর্থ এই দুই কিংবদন্তী শিল্পীকে সমস্যায় ফেলেছে বারবার। কতবার যে ছবির শুটিং শুরু হয়েছে, আর বন্ধ হয়েছে, তার হিসেব নেই। শেষ পর্যন্ত ১৯৫৫ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। মুক্তির পরই নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের অপু আর তার দিদি দুর্গার গল্প জিতে নিয়েছে আসমুদ্র হিমাচলের মন। পরের বছরই, ১৯৫৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পায় ছবিটি। এছাড়া বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবেও পুরস্কৃত হয় ‘পথের পাঁচালি’।
[ জানেন, নিক-প্রিয়াঙ্কার বিয়েতে কারা আমন্ত্রিত? ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.