সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরু শহরে শুটিং থেকে শুরু হয়েছিল কর্নি সেনাদের ভাঙচুর ও হুমিকর পালা। তারপর কখনও সিনেমার কলাকুশলীরা পেয়েছে প্রানের হুমকি তো, কখনও আবার পরিচালককে দেওয়া হয়েছে সিনেমা না বানানোর হুমকি। মাঝে আবার হল মালিকদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল যে তাঁরা যদি তাদের হলে এই সিনেমাটা দেখান তবে নাকি সেই হলগুলি ভাঙচুর করা হবে। কিন্ত সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে সর্বোচ্চ আদালতের সবুজ সংকেত নিয়ে গোটা ভারতবর্ষে মুক্তি পেতে চলেছে ‘পদ্মাবত’।
কিন্ত তাতেও অবসান হয়নি ঝামেলার। এখন আবার কর্নি সেনাগোষ্ঠী জানিয়েছে আগামী ২৫ জানুয়ারি যদি মুক্তি পায় ‘পদ্মাবত’ তবে নাকি তাঁরা সিনেমা মুক্তির প্রতিবাদে অবরোধ করবে।
তাতে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে স্পেশাল কমিশনার অফ পুলিশ দীপেন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন “আমরা দিল্লির সব হল মালিকদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছি এবং আমরা আমাদের স্পেশাল ফোর্স নিয়েও তৈরি, যাতে কোনওরকম অশান্তির সম্ভাবনা তৈরি হলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে পারি”।
এ তো গেল রাজধানীর অবস্থা। অন্যদিকে আবার রাজস্থানের চিতোরে ঘটছে আর এক ঘটনা। ‘পদ্মাবত’ সর্বোচ্চ আদালতের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর থেকেই সেখানকার ‘সর্ব সমাজ’ নামক একদল নারীগোষ্ঠী জানিয়েছে যদি রাজস্থানেও ‘পদ্মাবত’ মুক্তি পায় তবে তাঁরা সকলেই জহরব্রত পালন করে নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করবেন এবং আজ তাঁরা রাজস্থানে ‘পদ্মাবত’এর মুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে একটি মিছিলের আয়োজন করেছিলেন। যেখানে প্রায় কয়েকশো মহিলা হাতে তলোয়ার নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই মিছিলটি শুরু হয়েছিল চিতোরের যে দুর্গে রানি পদ্মাবতী জহরব্রত পালন করেছিল সেই দুর্গ থেকে। তারপর চিতোরের নানা রাস্তা ঘুরে এই মিছিলটি শেষ হয় চিতোরের জহর ভবনে এসে।
রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়া এবিষয়ে বলেছেন, “সর্বোচ্চ আদালত সবুজ সংকেত দিয়েছে ঠিকই, কিন্ত তবু আমরা আমাদের এখানে ‘পদ্মাবত’ আদৌ মুক্তি পাবে কিনা সে বিষয় নিয়ে এখনও ভাবনাচিন্তা করছি”।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.