সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজপুত রানি কখনও এরকম পেট দেখিয়ে নাচতে পারেন? তাও আবার জনসমক্ষে! মেনে নেননি রাজপুতরা। ‘ঘুমর’ গানের এই দৃশ্য নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল কর্ণি সেনার। সেই একই জায়গায় আটকে গিয়েছিল সেন্সর বোর্ডও। ছবির এই অংশটিকে বাদ দিতে বলা হয়েছিল। তবে শেষমেশ অন্য এক উপায়ে রক্ষা পেতে চলেছেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি।
[ ‘গুজরাট’ শব্দটি মিউট করেই শংসাপত্র জুটল অমর্ত্য সেনের তথ্যচিত্রের ]
বহু জটিলতার পর অবশেষে ছবিমুক্তির দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। সেন্সর বোর্ড বেশ কিছু পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই পরিবর্তন ছবিটিতে করা হয়, এবং পুনরায় তা দেখানো হয় সেন্সর প্রতিনিধি ও ঐতিহাসিকদের সামনে। জানা যাচ্ছে, ‘ঘুমর’ গানের একটি দৃশ্য নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন সেন্সর প্রতিনিধিরা। যেখানে ঘাঘরা-চোলিতে নাচছেন রাজপুত রানি পদ্মাবতী ওরফে দীপিকা পাড়ুকোন। নাচের ছন্দেই দীপিকার খোলা পেটের খানিকটা অংশ দৃশ্যমান হচ্ছে। কিন্তু এই অংশটি মানতে নারাজ ছিলেন রাজপুতরা। তাঁদের দাবি, রাজপুত রানি কখনওই নিজেকে এভাবে বেআব্রু করতেন না। তাও আবার জনসমক্ষে। অতীতে পরিচালক যুক্তি দেখিয়েছিলেন, ছবির দৃশ্যে অন্য কেউ আসছেন কোত্থেকে? সেখানে রানি নাচছেন তাঁর স্বামীর সামনে। উপস্থিত তাঁর একান্ত সহচরীরা। সেখানে নাচ বা নাচের ছন্দে যদি তাঁর শরীরে কোনও অংশ দৃশ্যমান হয় তাহলেই বা আপত্তি কোথায়? কিন্তু ছবির গোড়াতেই মূল যে ধোঁয়াশা, তা হল, ইতিহাস ও কল্পনা এখানে মিশে গিয়েছে। বাস্তব ও কাব্য একাকার গিয়েছে। সেখানেই গোল বাধে। ছবির দৃশ্য যদিও একান্ত নাচের, কিন্তু আখেরে তা প্রদর্শিত হবে বহু লোকের সামনেই। সুতরাং রানিকে এভাবে দেখতে রাজি নয় কেউই। ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত সেন্সর বোর্ড এই অংশটি বাদ দিতে বলে। কিন্তু হুট করে ওই অংশটি কেটে বাদ দিলে নাচে ছন্দপতন হবে। শেষমেশ কমপিউটর গ্রাফিক্সের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। চোলির অংশ বাড়িয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে দীপিকার উন্মুক্ত পেট। এমনটাই জানাচ্ছেন স্ক্রিনিংয়ের সময় উপস্থিত এক ব্যক্তি।
[ রাম-সীতার নাম অক্ষত রেখেই সেন্সরের ছাড়পত্র পেল ‘রংবেরঙের কড়ি’ ]
ইতিমধ্যে সেন্সরের আদেশ মেনে ছবির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া আর যা পরিবর্তন করার কথা ছিল, তা করে ছবি সেন্সরের সামনে উপস্থিত করা হয়েছে। যদিও তারপরও কোনও কোনও অংশে অসন্তোষ ছিল কারও কারও। স্ক্রিনিংয়ের সময় ঐতিহাসিক ও রাজপরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। স্ক্রিনিং ও আলোচনা প্রক্রিয়া জুড়ে উপস্থিত ছিলেন সেন্সর প্রধান প্রসূন জোশীও। সেন্সর অবশ্য আর কোনও খুঁত খুঁজে পায়নি। খুব শিগগিরই ছাড়পত্র হাতে দেওয়া হবে পরিচালককে। নির্ধারিত দিনেই ছবিমুক্তি পাবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।
[ বাড়ছে জটিলতা, রাজস্থানের পর এবার গুজরাটেও নিষিদ্ধ ‘পদ্মাবত’ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.