সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেনতেন প্রকারেণ পদ্মাবত-এর মুক্তি আটকাতে হবে। তার জন্য চলছে জোর তাণ্ডব। দেদার ভাঙচুর। এমনকী শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। স্কুলবাসেও অগ্নিসংযোগ করেছে ‘দেশপ্রেমিক’ কর্ণি সেনার সমর্থকরা। তবে এর মধ্যেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। অতি উৎসাহে নিজেদের সমর্থকদের গাড়িতেই আগুন দিল একদল সমর্থক।
[ ‘পদ্মাবত’ দেখাতে ব্যর্থ চার রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা ]
ঘটনা ভোপালের। জ্যোতি টকিজ নামে এক সিনেমা হলে ‘পদ্মাবত’ মুক্তির কথা ছিল। বুধবার সন্ধেয় সেই হলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কর্ণি সেনা। বিজেপি শাসিত চার রাজ্যে যেভাবে বিক্ষোভ চলছে, এখানেও তার ব্যতিক্রম নেই। কিন্তু তা করতে গিয়েই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। হলের কাছেই ছিল একটি মারুতি সুইফট। উত্তেজিত কর্ণি সেনা সেই গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গাড়িটি। পরে জানা যায়, গাড়িটি অন্য কারও নয়, সুরেন্দ্র সিং চৌহানের। তিনি নিজে একজন কর্ণি সেনার কর্মী। কাছেই তাঁর বাড়ি। কিন্তু নিজের সংগঠনের ক্ষোভ থেকেই বাঁচতে পারেননি তিনি। ঘটনার পরই সক্রিয় হয় পুলিশ। প্রায় হাফ ডজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
[ আমার রাজ্যে পদ্মাবত মুক্তি পেলে খুশি হব, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ]
এদিকে ভারতে যখন পদ্মাবত নিয়ে এরকম অচলাবস্থা, তখন পাকিস্তানে ছাড়পত্র পেল ছবি। সংবাদসংস্থা আইএএনএস-এর খবর মোতাবেক পাক মুলুকে পদ্মাবত-এর প্রদর্শন নিয়ে কোনওরকম মতবিরোধ নেই। সাধারণ মানুষ সে ছবি দেখতে পারেন বলেই মনে করেছে সেন্সর বোর্ড। ছবিটিকে ‘ইউ’ সার্টিফিকেট দিয়ে মুক্তির যোগ্য বলে বিবেচিত করা হয়েছে।
[ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মুক্তি পেল ‘পদ্মাবত’, চার রাজ্যে দেখাতে নারাজ মাল্টিপ্লেক্স ]
এদিকে ‘পদ্মাবত’ মুক্তি নিয়ে আজও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ জারি কর্ণি সেনা সংগঠনের। ছবি মুক্তি পাওয়ার পর কিন্তু দর্শকদের মুখে অন্য প্রতিক্রিয়া। ছবির মধ্যে এমন কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি যা রাজপুত গর্বকে হীন করেছে। বরং দর্শকরা সমস্বরে বলছেন, রাজপুত ইতিহাসকে গৌরবাণ্বিত করা হয়েছে এ ছবিতে। তাহলে কেন এত বিক্ষোভ প্রতিরোধ? পাকিস্তানে যখন ছবি মুক্তি পাচ্ছে, ভারত কি তার থেকেও কট্টরপন্থীদের দেশ হয়ে গেল। এ প্রশ্নই এখন ঘুরছে দেশবাসীদের মুখে মুখে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.