Advertisement
Advertisement

Breaking News

পানপাত্র চুরির দায়ে প্রকাশ্যে অভিযুক্ত এই জনপ্রিয় গায়িকা

চ্যাট শোয়ে ফাঁস চাঞ্চল্যকর ভিডিও।

OMG! Rihanna Steals Drink glasses From Nightclubs!
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 18, 2018 9:00 am
  • Updated:June 18, 2018 9:00 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ এক আজব রোগ! নেহাতই বিরল নয়। তবে অন্যের চোখে ধরা পড়লে চরম অস্বস্তিকর। ডাক্তারি পরিভাষায় ক্লেপ্টোম্যানিয়া বললেও সাধারণের চোখে চুরি বিদ্যা। সম্প্রতি এই অসুখের কারণেই বেজায় লজ্জায় পড়তে হল বিশ্ববিখ্যাত গায়িকা রিহানাকে। তাঁর আকর্ষণ পানপাত্রের প্রতি। বারবার তাঁকে বিভিন্ন পার্টি ও ক্লাব থেকে পানপাত্র হাতে বেরিয়ে আসতে দেখা গেলেও এই প্রথম গ্লাস চুরির দায়ে সরাসরি অভিযুক্ত হলেন রিহানা। ‘দ্য গ্রাহাম নর্টন শো’-এর সঞ্চালক সকলের সামনে এই প্রসঙ্গ তুলে বিশ্ববিখ্যাত এই গায়িকাকে রীতিমতো অপ্রস্তুত করে দেন।

[অনুষ্কার কথাবার্তাও আবর্জনার মতোই! অভিনেত্রীকে পালটা তোপ যুবকের]

Advertisement

শুধু মৌখিক অভিযোগ করেই ক্ষান্ত থাকেননি অনুষ্ঠানের সঞ্চালক গ্রাহাম নর্টন। রিহানার গ্লাস চুরির একের পর এক ছবিও দেখানো হয় ওই অনুষ্ঠানে। সব ক’টি ছবিতেই দেখা যাচ্ছে হাতে পানপাত্র নিয়ে দিব্যি বেরিয়ে যাচ্ছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই চরম অপ্রস্তুত রিহানার মুখের হাসিও ক্রমেই ফ্যাকাশে হতে দেখা যায়। নিজেকে কোনও ক্রমে সামলে শুকনো গলায় তিনি কেবল জানান, এতগুলি ঘটনার মধ্যে অন্তত একটি ক্ষেত্রে হোটেল থেকে নেওয়া গ্লাস তিনি ফেরত দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর এই কাতর স্বীকারোক্তিতেও থেমে থাকেননি সঞ্চালক গ্রাহাম। রিহানার মধ্যে অপরাধ প্রবণতা রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অন্যদের রিহানা সম্পর্কে সতর্কও করে দেন গ্রাহাম।

এর আগে শুধু মেয়েদের নিয়ে তৈরি একটি ছবিতে কমপিউটার হ্যাকারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রিহানা। কিন্তু তাঁর নিজের চুরি করার বাস্তব দৃশ্য দেখে স্বাভাবিকভাবেই চূড়ান্ত ঘাবড়ে যান এই বিশ্ববিখ্যাত গায়িকা। তার চেয়েও বেশি অস্বস্তিতে পড়েন, তাঁর মা এই দৃশ্যগুলি দেখবেন ভেবে। তাই নিজের অস্বস্তি আড়াল করার চেষ্টা করলেও অকপটে প্রশ্ন করে বসেন, ‘আমার মা-ও এই দৃশ্যগুলি দেখতে পাবেন?’

[ফাদার্স ডে-তে ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ দিয়ে উদযাপন রণবীরের]

অনুষ্ঠানে রিহানাকে অপরাধী সাব্যস্ত করা হলেও চিকিৎসা বিজ্ঞান অবশ্য এর পিছনে কোনও অপরাধ প্রবণতা খুঁজে পায় না। ডাক্তারি মতে, এটা নেহাতই একটা বাতিক। যা মানসিক অসুখের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এতে অধিকাংশ সময়ই আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের অবচেতনে কোনও জিনিস হাতে করে নিয়ে আসেন। অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষ কোনও দ্রব্যের প্রতি আসক্তি থাকে। অধিকাংশ সময়ই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অর্থনৈতিক অনটনের কোনও সম্পর্ক থাকে না। অর্থাৎ, এটা অভাবে চুরি নয়। পুরোপুরি অসুখে চুরি। উপযুক্ত মানসিক চিকিৎসায় এই অসুখের নিরাময় সম্ভব। তাই পাঁচ জনের সামনে অপ্রস্তুত করার বদলে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেওয়াই বেশি কার্যকর বলে মনে করছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।

[সাউথ এন্ডে বিষাদের সুর, ভেঙে পড়ছে শচীন কর্তার জলসাঘর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement