Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘শিবুদা ভীষণ কড়া শিক্ষক’, ‘গোত্র’ প্রসঙ্গে বললেন নাইজেল

ছবি নিয়ে শেয়ার করলেন অভিজ্ঞতা।

Nigel Akkara shares his work experience in upcomin Bengali film Gotro
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:June 28, 2019 8:32 pm
  • Updated:June 28, 2019 9:32 pm  

বছর পাঁচেক আগে টলিউডের পরিচালকদ্বয় শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়ের হাত ধরে পা রেখেছিলেন সিনেদুনিয়ায়। তার আগে তাঁর পরিচয়ে সেঁটে গিয়েছিল এক অন্যরকম তকমা। তবে সদিচ্ছায় ফিরেছেন জীবনের মূলস্রোতে। নেপথ্যে শিল্পী অলকানন্দা রায়। তাঁর ছত্রছায়াতেই জীবনের মূলস্রোতে ফিরতে পেরেছিলেন নাইজেল আক্কারা। সালটা ২০১২। নাইজেলের জীবনকাহিনির প্রেক্ষাপটেই টলিউডের পরিচালকজুটি বানিয়ে ফেললেন একটা গোটা ছবি। ‘মুক্তধারা’। মূল চরিত্রে নাইজেল আক্কারা খোদ। সেই থেকেই অভিনয় জগতের সঙ্গে পরিচয় তাঁর। আজও দর্শক মননে স্থানাধিকার করে রয়েছে সেই অভিনয়। আর ৭ বছর পর এবার ফের সেই পরিচালকজুটি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়ের হাত ধরেই রুপোলি পর্দায় ফিরতে চলেছেন নাইজেল আক্কারা। ছবির নাম ‘গোত্র’। সৌজন্যে উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থা। সদ্য প্রকাশ্যে এসেছে নাইজেলের ‘গোত্র’ লুক। কথা বললেন সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর প্রতিনিধি সন্দীপ্তা ভঞ্জ-র সঙ্গে।

প্রায় ৭ বছর বাদে আবারও শিবুদা-নন্দিতাদির ছবিতে… এর মাঝেও ওঁদের অনেক ছবি মুক্তি পেয়েছে? তোমাকে এতদিন বাদে দেখা গেল?

Advertisement

সেটা আমার দুর্ভাগ্যই বলতে পারো একপ্রকার। শিবুদা-নন্দিতাদি হয়তো ভেবেছিলেন সেই ছবিগুলোর কোনও চরিত্রই আমার জন্য উপযুক্ত নয়। আমাকে মানাবে না। সেইজন্যই আর কাজ করা হয়ে ওঠেনি ওঁদের সঙ্গে। কিন্তু ‘মুক্তধারা’ তো আমার জীবনে অনেক বড় পাওনা। কারণ, সেই ছবি দিয়েই কলকাতা ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ইনট্রোডাকশন। আমার কাছে শিবুদা-নন্দিতাদি দুজনেই খুব প্রিয়। ভীষণই স্পেশ্যাল। আর থাকবেও। কারণ, ওই দুজনের হাত ধরেই আমার অভিনয়ে আসা। মাঝখানে বেশ কিছু কাজ করেছি। তবে, ৭ বছর পর শিবুদা-নন্দিতাদির ‘গোত্র’-তে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে।  

[আরও পড়ুন: ফের শিবপ্রসাদ-নন্দিতার হাত ধরে বড়পর্দায় নাইজেল, প্রকাশ্যে অভিনেতার ‘গোত্র’ লুক ]

তারেক আলির চরিত্র করতে গিয়ে প্রস্তুতি কীভাবে নিলে?

শিবুদা ভীষণ কড়া শিক্ষক, মূলত হোমওয়ার্কের বিষয়ে। ভীষণ পারফেকশনিস্ট। ঠিক যা চাইছে তা না পেলে ছাড়েন না। নন্দিতাদিও ঠিক তাই। কসরত তো করতেই হয়েছে। অনেকরকমভাবেই প্রস্তুতি নিতে হয়েছে তারেক আলির জন্য। আর ওদের সঙ্গে কাজ করা মানে অনেকটা ফ্যামিলির মতোই ব্যাপার আর কী। তাই হোমওয়ার্ক করতে কোনও অসুবিধে হয়নি।

একদম অন্যরকম একটা বিষয় নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘গোত্র’, শ্রেণিবৈষম্য, ধর্ম..  

ধর্ম, বা শ্রেণী বৈষম্য এসবের উত্তর খুব ভালভাবে মিলবে ‘গোত্র’ ছবিতে। মুখিয়ে রয়েছি মুক্তির জন্য।

শিবুদা বা নন্দিতাদি ছাড়া অন্য কোনও পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছে করে না?

নিশ্চয়! অনেক বড় মাপের পরিচালকরা রয়েছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে সেরকম সুযোগ হয়ে ওঠেনি এখনও।

যেমন?

কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা বলব।

হিরোসুলভ চেহারা রয়েছে, কখনও ভাবোনি কমার্শিয়াল ছবি করার কথা?

আমি মনে করি ফিল্ম ইজ আ ডিরেক্টরস মিডিয়াম। আমাকে যে কোনও ছাঁচেই ফেলা যেতে পারে। পুরোটাই নির্ভর করছে পরিচালকের উপর। তিনি আমাকে যেভাবে চাইবেন ছবিতে।

সেরকম কোনও অফার আসেনি?

গত একবছরে আসলে আমি একটু অন্যরকম কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমার একটা অর্গানাইজেশন রয়েছে। এই অর্গানাইজেশন বিভিন্ন রকমের মানুষ নিয়ে কাজ করে। মঞ্চ দিয়ে যেরকম আমার জীবনে একটা বিরাট পরিবর্তন এসেছিল, সেরকমই আমি অন্যদেরও অনুপ্রেরণা জোগানোর চেষ্টা করি। অভিনয় যেন তাঁদেরও একটা অস্ত্র হয়ে ওঠে। যৌনকর্মী, ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে কাজ করেছি। এখন যেমন মাদকাসক্তদের নিয়ে কাজ করছি। গত একবছর ধরে এসব নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। তাই অন্য কাজে আমল দিতে পারিনি।  

সেই ২০১২ সালে ‘মুক্তধারা’.. এতদিন বাদে ‘গোত্র’… মাঝে প্রায় ৭ বছর কেটে গিয়েছে.. কেমন কাটল?

একগাদা কাজ করার থেকে ভাল কাজ করাটা খুব ইমপরট্যান্ট জানো। এই ফ্যাক্টটা একটু দেরিতে বুঝেছি আমি। তবে এখন পুরোপুরি মাথায় ঢুকিয়ে নিয়েছি। সৌকর্য, পাভেল, মানস মুকুল পালের মতো অনেকেই খুব ভাল ভাল কাজ করছেন। কত নতুন ট্যালেন্ট এখন ইন্ডাস্ট্রিতে। একদম ভিন্ন স্বাদের ছবি উপহার দিচ্ছেন দর্শকদের। আমি সেই চেষ্টাই করব যাতে ভাল কাজ করতে পারি।

[আরও পড়ুন: রহস্য-রোমাঞ্চের মোড়কে তিন বন্ধুর গল্প, প্রকাশ্যে ‘সামসারা’র ট্রেলার ]

‘দেরি করে বুঝেছি’ বললে কেন হঠাৎ?

প্রথমদিকে, মানে ‘মুক্তধারা’-র পর যে কাজই এসেছে আমার কাছে, সেই কাজই করেছি। তখন কেমন যেন, অভিনয় করব বলেই করছি এরকম গোছের ব্যাপার ছিল। বম্বেতে দুটো ছবিতে কাজ করেছি। সেগুলো তো মুক্তিই পায়নি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মনে হয় এখন, ভাল কনটেন্ট খুব জরুরি। মানে বেছে কাজ করা জরুরি আর কী!

ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয়ের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাকে অনুসরণ করো?

শিবুদা এবং নন্দিতাদি। তুমি বিশ্বাস করতে পারবে না,  বাচ্চা-বুড়ো, পুরুষ-মহিলা, যে কোনও চরিত্র যেমন লোকই হোক শিবুদা তার এক্সপ্রেশনটা এমনভাবে দেবে যে, ওটা মাথায় হ্যামার করতে বাধ্য। সম্প্রতি, ‘কণ্ঠ’তেও তো দেখল দর্শক। কী দুধর্ষ! অভিনয়ের অনুপ্রেরণার কথা বললে চোখ বন্ধ করে শিবুদার কথা বলব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement