সোমনাথ লাহা: মৃদু হিমশীতল পরশ, ভালবাসার ছোঁয়া আর মনে রঙিন দোলা। ফাগুন বলতেই প্রকৃত অর্থে মনের অঙ্গনে ভেসে ওঠে এই চিত্রপটের কোলাজ। ফাগুন মানে দেশজুড়ে রঙের উৎসব। রঙিন পরশে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে। রঙের ছটায় সমাদৃত সেই একটুকরো ‘ফাগুন’ এবার মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্মের আঙিনায়। ক্লাসিক্যাল ও পাশ্চাত্য সংগীতের অনন্য মেলবন্ধনে গাঁথা এই মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্মটির পরিচালনা করেছেন পার্থ গঙ্গোপাধ্যায়।
[শুধু মণ্ডপে নয়, পুজোয় ছোটদের দেখিয়ে আনতে পারেন ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’]
৫ মিনিটের এই ছোট ছবিটিতে রোমান্টিসিজমের বিভিন্ন আঙ্গিক অর্থাৎ প্রেম, যৌনতা, না পাওয়ার যন্ত্রণার মতো ছবি প্রতিফলিত হয়েছে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মেলবন্ধনে সুরারোপিত ফিউশনের আবহে এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রখ্যাত পারকাশন ম্যাস্ট্রো অভিষেক বসু। দেশ-বিদেশের বহু পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ‘ফাগুন’-এ ক্লাসিক্যাল ঠুমরীকে পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে অনন্য মিশেল ঘটিয়ে ফিউশনের সৃষ্টি করেছেন তিনি, ছবিতে ব্যবহৃত হয়েছে সন্তুর ও সারেঙ্গি। বাজিয়েছেন চিরদীপ সরকার এবং পঙ্কজ মিশ্র। ছবির পোশাক পরিকল্পনায় প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার তেজস গান্ধীর।
খুব যত্ন নিয়ে এই ছবিটি নির্মাণ করেছেন অভিষেক। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেবারুণ স্বরাজ ও শুভনীতা পাল। ভেদাট্রনিক্সের ব্যানারে নির্মিত এই শর্ট ফিল্মটির ইতিমধ্যেই বস্টন, ভ্যাঙ্কুবার, লজ এঞ্জেলস, নিউ ইয়র্ক-সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে সমাদৃত হওয়ার পাশাপাশি রীতিমতো প্রশংসিত ও পুরস্কৃতও হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার বাংলা থেকে মিউজিক ভিডিও-র আঙ্গিকে গড়া মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্ম এই রকমের সমাদর পেয়েছে বিদেশের চলচ্চিত্র উৎসবে। মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্মটির কাহিনি আবৃত হয়েছে রঙের উৎসব আবহে বন্ধুদের সঙ্গে গ্রামে ঘুরতে আসা সুনয়না (শুভনীতা)-কে কেন্দ্র করে। ঘটনাক্রমে তাঁর সঙ্গে এমন কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে কখনও তা ইলিউশনের মতো মনে হলেও কখনও তাই আবার যেন মনে হয় তার আগের জন্মের সঙ্গে জড়িত। শেষ পর্যন্ত সুনয়না কি খুঁজে পায় সেই উত্তর? তা জানতে হলে দেখতে হবে এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটি, মিউজিক্যালি বেসড এই শর্ট ফিল্মটির শুটিং হয়েছে বজবজের বাওয়ালি রাজবাড়িতে। প্লেব্যাক করেছেন সায়ন্তন ভৌমিক ও আইভি বন্দ্যোপাধ্যায়।
মিউজিক্যাল এই শর্ট ফিল্মটির সংগীত পরিচালক অভিষেক বসুর কথায় “আমরা প্রথমে এটাকে মিউজিক ভিডিও আঙ্গিকেই বানাতে চেয়েছিলাম। তারপর পার্থদা (পার্থ গঙ্গোপাধ্যায়)-র গল্পটা শুনে আমাদের মনে একটা অন্যরকম ফিলিং হয়। মনে হয় এত ভাল গল্পটাকে প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন, আর এত ভাল গল্প যখন রয়েছে তখন শর্টফিল্ম হতেই পারে। ফিল্ম আঙ্গিকে হলে সেই মিউজিকও মানুষের মনে অনেক বেশি জায়গা করে নেয়। সেই কারণে আমি পুরো বিষয়টাকেই সিনেম্যাটিক আঙ্গিকে নির্মাণ করেছি। যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং কাজ হলেও কাজটা করে খুব ভাল লেগেছে। আর এখন এত জায়গায় প্রশংসিত হওয়ায় আগামী দিনে আরও অন্যরকম কাজ করার উৎসাহ পাচ্ছি। আশা করছি এই মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্মটি সকলের ভাল লাগবে।”
[ কেমন হল অস্কারে মনোনীত ছবি ‘ভিলেজ রকস্টার্স’?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.