Advertisement
Advertisement

পুরনো নোট বাতিলে হৃতিকের মুখে হাসি, মুশকিলে অজয়

বিচার আপনারাই করুন! বক্তব্য শুনে নিয়ে!

Modi’s Demonetisation Earned Bollywood’s Mixed Reaction
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 14, 2016 7:30 pm
  • Updated:November 14, 2016 7:30 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেলিব্রিটিদের কি টাকা লাগে না?
বলতেই পারেন, এ আবার একটা প্রশ্ন হল না কি! কে না জানে, দুনিয়া টাকার বশ! সেলিব্রিটিদের কাছে অনেক টাকা থাকে ঠিকই, কিন্তু সেও তো প্রয়োজন মেটাতেই কাজে লাগে! সেই যে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন রবিনা টন্ডন, তাঁরা যা টাকাটা উপার্জন করেন তার বেশির ভাগটাই চলে যায় কর দিতে গিয়ে! বাকিটার বেশির ভাগও আবার চলে যায় নিজেকে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে। এর পর যা পড়ে থাকে, তাতে সংসার চলে। সেটার পরিমাণও কিন্তু নেহাত কম নয়!
এখন এই যে সমস্যা হল পুরনো নোট নিয়ে, তার জেরে সমান তালে ভুগছেন সেলিব্রিটিরাও। যে টাকাটা তাঁদের কাছে রয়ে গিয়েছে, সেটার কী হবে? আম-আদমির মতোই এখন খুচরোর সমস্যা তাঁদেরও। তাই নিয়েই কারও বা মুখে হাসি, কারও বা চোখে জল! তবে সমস্যা যতই থাক, হৃতিক রোশন কিন্তু ধরে রেখেছেন মুখের হাসিটুকু। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই আনন্দের কথা জানিয়েছেনও নায়ক।
হৃতিক বলেছেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে কুর্নিশ করছি! মানছি এটা একটা অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ, কিন্তু দেশের দুর্নীতি রোধ করার যে শপথ তিনি নিয়েছিলেন, তার প্রথম ধাপটুকু তিনি অতিক্রম করেছেন। আমি নিশ্চিত, এবার ভারত কালোবাজারের হাত থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবে!” ভুল কিছু তিনি বলেননি, বলাই বাহুল্য!


কিন্তু সমস্যা হল, অজয় দেবগন এখন আর মন খুলে হাসতে পারছেন না মোদির এই সিদ্ধান্তে। যদিও মোদির এই ৫০০, ১০০০ পুরনো নোট বাতিলের কথা ঘোষণা হওয়ার পরে বলিউড থেকে প্রথম এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে টুইট করেছিলেন অজয়ই! এখন তাহলে কী হল?


আসলে খুচরো নিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন অজয়। বলছেন, “এরকম একটা পদক্ষেপ নিতে গেলে রীতিমতো বুকের পাটা লাগে! মোদির এই সিদ্ধান্ত সুদূরপ্রসারী।“ তার পরেই কিন্তু নিজের এবং দেশবাসীর সমস্যার কথাটাও বলতে ভুলছেন না তিনি। “আমার নিজের ছবিও মোদির এই সিদ্ধান্তের ফলে লোকসানের মুখ দেখেছে। কিন্তু, সেটা ধর্তব্যের মধ্যে নয়, যতটা পেরেছেন”, সুর নরম রাখার চেষ্টা করেছেন অজয়।


আরও জানিয়েছেন নায়ক, তাঁর প্রোডাকশন হাউজের কাজকর্ম কীরকম ভাবে লাটে উঠেছে এই পুরনো নোট বাতিল হয়ে যাওয়ায়। “যখনই কোনও পরিবর্তন আসে, সাধারণ মানুষ কিছু না কিছু সমস্যায় ভোগেনই! আমার প্রোডাকশন হাউজের লোকজন এখন অন্যান্যদের মতোই ব্যাঙ্ক, এটিএমের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এবং তাঁরা একটা সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আরও কষ্ট ভোগ করতে প্রস্তুত”, বলছেন অজয়।
কিন্তু, কোথাও একটা গিয়েও কি খুঁতখুঁতুনি ধরা দিচ্ছে না নায়কের কণ্ঠে? সে বিচার আপনারাই করুন! তাঁর বক্তব্য শুনে নিয়ে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement