Advertisement
Advertisement

‘যত্রতত্র জাতীয় সংগীত বাজিয়ে দেশপ্রেম প্রমাণের জোর করার দরকার নেই’

মুখ খুললেন অভিনেতা কমল হাসান।

Kamal Haasan slams Centre on National Anthem debate
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 25, 2017 1:27 pm
  • Updated:October 25, 2017 3:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনেমাহলে জাতীয় সংগীত বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। দেশপ্রেম প্রমাণের সে যেন এক পরীক্ষাকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। কেউ কোনওভাবে উঠে না দাঁড়ালে তাঁকে দেশদ্রোহীর তকমা দিয়ে দেওয়া রেওয়াজে পরিণত হচ্ছিল। এমনকী জাতীয়তাবোধের প্রবল হাওয়ায় বাদ যাচ্ছিলেন না প্রতিবন্ধীরা। এবার সে নিয়ম লঘু করার পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়েই মুখ খুললেন অভিনেতা কমল হাসান।

[ শাহরুখের সাক্ষাৎ না পেয়েই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ‘ফ্যান’ অরুণা ]

Advertisement

সিনেমাহলে জাতীয় সংগীত বাজানো নিয়ে সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, এই বাধ্যবাধকতার কোনও দরকার নেই। এভাবে দেশপ্রেম প্রমাণ করার কোনও মানে হয় না। গত সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, জাতীয় সংগীত বাজার সময় উঠে দাঁড়াতে অনিচ্ছুক কোনও ব্যক্তিকে কেউ জোর খাটাতে পারবেন না। কারণ কেউ উঠে দাঁড়াতে অনিচ্ছুক মানে এই নয় যে, ওই ব্যক্তি জাতীয়তাবাদ বিরোধী বা দেশবিরোধী। তাই জাতীয় সংগীত চলার সময় উঠে দাঁড়ানো বাধ্যতামূলক নয়। তবে এই শিথিলতা শুধুমাত্র প্রেক্ষাগৃহের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি এএম খানউইলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ আদালতের বিশেষ বেঞ্চ সোমবার বলেছে, “সমাজে কারও ‘নৈতিক পুলিশগিরির’ দরকার নেই। বেঞ্চ বলেছে, এরপর হয়তো দেখব, জাতীয় সংগীত অবমাননা হবে বলে জানিয়ে সরকার প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের টি-শার্ট, হাফ প্যান্ট পরে আসতেও নিষেধ করবে। বেঞ্চের বক্তব্য ছিল, লোকে সিনেমা হলে আসে বিশুদ্ধ বিনোদনের জন্য। সমাজে বিনোদন দরকার। আমাদের কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি চালাতে দেব না আপনাদের (কেন্দ্র)। প্রত্যাশা এক জিনিস, আর তা বাধ্যতামূলক করা আরেক ব্যাপার। দেশপ্রেম বোধ আস্তিনে বয়ে বেড়াতে বাধ্য করা যায় না।”

[ জানেন, বড়পর্দায় কার ভূমিকায় অভিনয় করতে মুখিয়ে বিদ্যা? ]

সর্বোচ্চ আদালতের এই পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের অধিকাংশ মানুষ। নীতি পুলিশের বাড়াবাড়িতে লাগাম টানা জরুরি ছিল বলেই মনে করছেন অনেকে। সেই প্রসঙ্গেই নয়া সংযোজন অভিনেতা কমল হাসানের। তাঁর দাবি, সিঙ্গাপুরে প্রতি মধ্যরাতে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। সেই মডেল ভারতেও চালু করা যেতে পারে। কিন্তু যত্রতত্র জাতীয় সংগীত বাজিয়ে কারও দেশপ্রেম পরীক্ষার কোনও মানে হয় না। এরকম জোর করাও উচিত নয়।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement