সুকুমার সরকার, ঢাকা: ডিশ ব্যবসায়ী থেকে চলচিত্র তারকা বনে যাওয়া বগুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় বুধবার গ্রেপ্তার হন হিরো আলম।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করলে বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বগুড়া সদর থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা হিরো আলম জানান, তাঁর বিরুদ্ধে শ্বশুরের করা মামলাটি সাজানো ও ভিত্তিহীন। তাঁর দাবি, তিনি পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার। হিরো আলম বলেন, “আমি সত্য বলতে কখনও ভয় পাই না আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে দ্বিধা করি না। অনেক আগে থেকেই ডিশের ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল আমার শ্বশুরপক্ষের লোকজন। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে যৌতুকের মিথ্যে অভিযোগ তুলে, স্ত্রীকে নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে আমাকে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়েছে। তা ছাড়া বিগত নির্বাচনে প্রশাসনের অনিয়ম আর ভোট চুরির প্রতিবাদ করেছিলাম। বড় বড় কর্তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম। আমাকে মামলায় ফাঁসানোর নেপথ্যে এসব বিষয়ও কাজ করেছে।”
[ বাতাসে বিষ! দূষণ তালিকায় দিল্লির পরই স্থান ঢাকার ]
অভিনেতার দাবি, তিনি সিনেমা ও মডেলিং করেন। অধিকাংশ সময় বাইরে থাকতে হয়। তাঁর ডিশের ব্যবসার আয় সবটাই স্ত্রী সাদিয়া বেগম ওরফে সুমির (২৪) হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। কোনও যৌতুক চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। উলটে তাঁর অবর্তমানে অন্যের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্ত্রী। এমনই অভিযোগ তুলেছেন হিরো আলম। তিনি এও জানিয়েছেন, এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তাঁর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর বাড়িতে হামলা করে। টাকা পয়সা লুট করে। বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। তাঁকে মারধর করে বলেও অভিযোগ অভিনেতার। বুধবার আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরকীয়া ও দ্বিতীয় বিয়ের বিষয় নিয়ে তার স্ত্রী প্রতিবাদ করায় বউকে পিটিয়ে আহত করার দায়ে মামলা হয়। অভিযোগ, মঙ্গলবার স্ত্রী সাদিয়া আখতার সুমিকে মারধর করে হিরো আলম।
[ স্বদেশে ফিরতে রোহিঙ্গাদের ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য চিনের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.