সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়ার্কশপ করে ফিরছেন৷ সেদিনই মুম্বই-এ ‘ডার্ক চকোলেট’-এর ট্রেলার লঞ্চ হয়েছে৷ কথা দিয়ে কথা রাখেন রিয়া সেন৷ একদম নির্ধারিত সময়ে গাড়িতে উঠেই মুম্বই থেকে ফোনে ধরা দিলেন৷
এই ছবির অফারটা আপনি কীভাবে পেলেন?
অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় আমার বাবা-মাকে চেনেন৷ আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন৷ সরাসরি জিজ্ঞেস করেন যে এই ছবিতে আমি কাজ করতে পারি কি না৷ ওর মনে হয়েছিল আমার চেহারার সঙ্গে শিনা বোরার মিল আছে৷ তখনও স্ক্রিপ্ট রেডি ছিল না৷ পুরো শুটিং কীরকম হবে, সেসব নিয়ে কোনও ধারণা ছিল না আমার৷ কিন্তু শুধুমাত্র বাবা-মা’র চেনা বলেই আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম৷
শিনা বোরা হত্যার কেসটা ফলো করছিলেন?
হ্যাঁ, ডেফিনিটলি৷ এই ছবিটা প্রায় একবছর আগে করেছি৷ ঘটনাটাও সেই সময় আলোচনার কেন্দ্রে৷ স্বাভাবিকভাবেই সকলেই খুব কৌতূহলী ছিলাম বিষয়টা নিয়ে৷ তখন পুরোটা ফলো করতাম৷ এখন অতটা খবর রাখি না, কারণ কেসটা অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে৷ শুটিং-এ আমরা অবসেসড ছিলাম ঘটনাগুলো নিয়ে৷ স্পেশালি আমি আর মহিমা৷
ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় ছবিতে ঈশানী৷ আর আপনি শিনা৷ আবার শুনেছি আপনার ডাবল রোল৷ সত্যি?
হ্যাঁ, এই প্রথমবার আমি ডাবল রোল-এ৷ আমি ইন্দ্রাণীর কম বয়সটাও করেছি৷ আমাদের কোনও স্ক্রিপ্ট থাকত না শুটিং-এ৷ ধরো সকাল দশটায় কলটাইম, তারপর এগারোটায় যখন শট দিতে যাব তখন অগ্নিদেব বলতেন, রিয়া এটা তোমার সিন৷ তখনই অন স্পট করতে হত৷ আগে থেকে কিচ্ছু জানতাম না আমরা৷ যা জানতাম কাগজ পড়ে৷ তার ভিত্তিতেই অভিনয় করতাম ইন্সট্যান্টলি৷ খুব বেশি কিছু ভাবারও সময় পেতাম না৷ ডিরেক্টর যেমন বলতেন তেমনই করতাম৷ শিনা বোরার চরিত্রের ভিতরে ঢোকার খুব একটা অবকাশ পাইনি৷ আবার ইন্দ্রাণীর কম বয়স যেহেতু আমি প্লে করেছি আমার পক্ষে খুব ডিফিকাল্ট ছিল কাজটা৷ দু’টো চরিত্রের অ্যাকশন-রিঅ্যাকশন সবই তো আলাদা৷ প্রস্তুতির সময় পাইনি৷
ছবিটা তৈরি হয়ে যাওয়ার পর দেখেছেন?
না, দেখিনি৷ কিন্তু ট্রেলার দেখেছি৷
‘হিরো ৪২০’-এর পর আবার আপনাকে ‘ডার্ক চকোলেট’-এ দেখা যাবে৷ তা হলে কি এবার টলিউড নিয়ে ইন্টারেস্টেড?
অ্যাকচুয়ালি আমি ‘হিরো ৪২০’ করার আগে ‘ডার্ক চকোলেট’ করেছি৷ তারপর অনেক বাংলা ছবির অফার এসেছে৷ কিন্তু আমার ভাল লাগেনি তাই করিনি৷ এবার আবার রিঙ্গোর পরের ছবিতে করব৷ নাম ‘সেনাপতি’৷ হিরো পাল্টাচ্ছে৷ তাই শুট শুরু হতে সময় লাগছে৷ এবার হয়তো কলকাতা থেকে কেউ করবে৷
সামনে তাহলে কলকাতায় আসা?
হ্যাঁ, আসব৷ আমি খুব মিস করি কলকাতা৷ ওখানে আমার বাড়ি, মা-বাবা৷ আবার মুম্বইয়ে সতেরো-আঠেরো বছর হল আছি৷ এখানেও আমাদের বাড়ি৷ বন্ধুবান্ধব৷ তারপর আমার কুকুর এখানে৷ কাজেই বলতে পারো মুম্বই-কলকাতা দু’টো জায়গাই আমার বেস৷
আচ্ছা, মুম্বই-এর বাড়িতে আগুন লাগার পর সেটার এখন কী অবস্থা?
আগুন লাগার পর রেনোভেশন চলল প্রায় একবছর ধরে৷ এই সামনের বাইশ তারিখ থেকে শিফটিং শুরু করব৷ আবার পুরনো বাড়িতে ফেরা৷ খুব চাপ গেল ক’দিন৷
সোশ্যাল নেটওয়ার্ক-এ তুমি কতটা অ্যাক্টিভ?
সত্যি ভারচুয়াল ওয়ার্ল্ড এসে আমাদের জীবনটা কীরকম পাল্টে দিল৷ এখন আর ওয়েবসাইট কেউ দেখে না৷ দেখে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম৷ আমার পাঁচ-পাঁচবার টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে৷ এখন আবার নতুন একটা অ্যাকাউন্ট হয়েছে, সেখানে আমার জিরো ফলোয়ার৷ আমারই ফ্যান আমাকে এসে বলে এটা রিয়া সেনের অ্যাকাউন্ট না৷ রিয়া সেন-এর অ্যাকাউন্ট আমি জানি৷ বুঝতে পারছ৷ (হাসি)
কলকাতায় এসে দেব-জিতের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা হয় না?
ওদের সঙ্গে কাজ না করতে পারলে মরে যাব না৷ হলে ভাল৷ যে কোনও ছবি নেওয়ার আগে আমি আমার ভাল রোল দেখি৷ স্ক্রিপ্ট দেখি৷ এবং পরিচালক গুরুত্বপূর্ণ৷ এর সঙ্গে কাজ করতে হবে, ওর সঙ্গে কাজ করতে হবে, আমার ব্যাপারটা এরকম নয়৷ আই অ্যাম নট স্টারস্ট্রাক৷
আর বিয়ের প্ল্যান কী?
যদি তেমন কাউকে পাই কালকেই বিয়ে করে ফেলব৷ (হাসি)
সে কী! সব কাজ, অ্যাম্বিশন ফেলে?
নিশ্চয়ই আমার অ্যাম্বিশন আছে৷ কাজও করব৷ কিন্তু তার সঙ্গে বিয়েটাও করতে চাই৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.