সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডের অন্যতম স্টাইলিশ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। শাড়ি তাঁর অন্যতম প্রিয় পোশাক। কঙ্গনা মনে করেন, একজন ভারতীয় হিসেবে শাড়ির প্রতি তাঁর দুর্বলতা থাকা স্বাভাবিক। তাঁর মতো অন্য ভারতীয় মহিলাদেরও শাড়ির প্রতি আকর্ষণ থাকা উচিত। এও জানা উচিত, কীভাবে শাড়ি পরতে হয়।
[ ‘সঞ্জু’ নিয়ে সমালোচনা, নেটিজেনকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ ঋষি কাপুরের ]
গতানুগতিকতাকে জলাঞ্জলি দেওয়ার নাম করে এখন ক্রমশ উঠে যেতে বসেছে সংস্কৃতি। অনেক অত্যাধুনিকারাই এখন শাড়ি পরতে জানেন না। উলটে শাড়ির নামে নাক সিঁটকায়। এই মনোভাবটাই পছন্দ নয় কঙ্গনার। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আপনি ভারতীয় মহিলা, আপনার জানা উচিত কীভাবে শাড়ি পরতে হয়। কিছু কিছু মানুষ আছে, যারা নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে লজ্জা পায়।’ কিন্তু তিনি এমন অনেককে চেনেন যাঁরা স্বীকার করে তাঁরা হিন্দিতে কথা বলতে পারেন ও বোঝেন। তাঁরা ভারতীয় খাবার খেতে ভালবাসেন। নিজেদের সংস্কৃতির নিন্দা না করে, নিজের ব্যক্তিসত্ত্বাকে টিকিয়ে রেখেও বিশ্ব নাগরিক হওয়া যায়। সেটা অনেকেই বোঝেন, জানিয়েছেন কঙ্গনা।
সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিলেন কঙ্গনা। সেখানে তিনি সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা একটি কালো শাড়ি পরেছিলেন। সেজেছিলেন পুরনো দিনের বলিউডি স্টাইলে। ফরাসি দেশে তাঁর শাড়ি ও রেট্রো লুক আলাদাভাবে নজর কেড়েছিল।
[ সোশ্যাল মিডিয়ায় রণবীরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ছবি পোস্ট অমিতাভের ]
তবে শুধু কঙ্গনা নন, শাড়ি নিয়ে তাঁর আগে মন্তব্য করেছিলেন সব্যসাচী নিজে। কঙ্গনা যা বলেছেন, সব্যসাচীর মন্তব্যেও তেমন ইঙ্গিতই ছিল। তিনি বলেছিলেন, যদি কেউ বলে সে শাড়ি পরতে পারে না, তাহলে তার লজ্জা পাওয়া উচিত। এটি ভারতের সংস্কৃতির অঙ্গ। এর স্বপক্ষে থাকা উচিত। তবে এই মন্তব্যের পর সমালোচনার মুখে পড়েন সব্যসাচী। ‘লজ্জা’ শব্দটি নিয়ে অনেকের আপত্তি ছিল। সেই কারণে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেন সব্যসাচী। সেখানে ‘লজ্জা’ শব্দটি প্রয়োগ করার জন্য ক্ষমা চান তিনি।
২০১৭ সালে ‘সিমরন’ ছবির পর পর্দায় কঙ্গনা রানাউতকে আর দেখা যায়নি। তাঁর পরবর্তী ছবি ‘মণিকর্ণিকা- দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’। ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈকে নিয়ে গল্প। ছবিতে লক্ষ্মীবাঈয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। তিনি ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন সোনু সুদ, অতুল কুলকার্ণি ও অঙ্কিতা লোখাণ্ডে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.