Advertisement
Advertisement

Breaking News

নীরব-মালিয়ারা তো ফেরার, জানেন একমাত্র কোন ব্যাংক চোর ধরা পড়েছিল?

দেখুন তো চিনতে পারেন কিনা!

I am the only ‘bank chor’ that failed: Riteish Deshmukh’s jibe on PNB scam
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 20, 2018 5:46 pm
  • Updated:February 20, 2018 9:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে ফেরার বিজয় মালিয়া, নীরব মোদিরা। ব্যাংকে দিনে ডাকাতি যেন এখন জলভাত হয়ে গিয়েছে। তাও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নয়। রীতিমতো আইনের ফাঁক গলেই লুটপাট। গোটা দেশে যখন এই নিয়ে চর্চায়, তখন সামনে এলেন এক ব্যাংকচোর। যিনি নিজেই সন্দেহ প্রকাশ করলেন, তিনিই বোধহয় একমাত্র ব্যাংক চোর, যিনি পালাতে পারেননি। ধরা পড়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ ব্যর্থ হয়েছেন।

 সুজয়কে ‘খোকা’ সম্বোধন অমিতাভের, জানেন কী পরামর্শ দিলেন? ]

Advertisement

জানেন, কে সেই ব্যাংক চোর? তিনি আর কেউ নন স্বয়ং রীতেশ দেশমুখ। না, কোনও ব্যাংক লুট তিনি করেননি। গতবছর জুন মাস নাগাদ মুক্তি পেয়েছিল তাঁর ‘ব্যাংকচোর’ নামে ছবিটি। যেখানে চোরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল রীতেশকে। পুলিশ অফিসার ছিলেন বিবেক ওবেরয়। ছবির শেষে বিবেকের হাতে পাকড়াও হয়েছিলেন রীতেশ। অর্থাৎ সিনেমা চায়নি যে, ব্যাংক চোর ফেরার হোক। যদিও বাস্তবে তাই-ই হচ্ছে। আদ্যন্তে কমেডি সিনেমা। অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, সিরিয়াসনেসের বদলে আরোপিত কমেডিতে সিনেমার আনন্দ মাঠে মারা গিয়েছে। সে যাকগে, কমেডিতে মাতিয়ে দিয়েছিলেন রীতেশ। তবে সিনেমা তেমন সাফল্যের মুখ দেখেনি। এখন যখন ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে গোটা দেশ সরব, তখন নিজেই ছবির প্রসঙ্গ টেনেছেন রীতেশ। টুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোস্টারের ছবি দিয়ে জানিয়েছেন, তিনিই বোধহয় একমাত্র ব্যাংক চোর, যিনি সফল হতে পারলেন না। অর্থাৎ ধরা পড়ে গেলেন। বস্তুত তাঁর খোঁচা প্রশাসনের দিকে। কংগ্রেস বাড়ির ছেলে রীতেশ। সিনেদুনিয়াতেই তাঁর আনাগোনা। রাজনীতি নিয়ে তেমন মাথা ঘামাতে দেখা যায় না। তবে তাঁর এই রসিকতায় যে রাজনৈতিক শ্লেষ আছে, তা স্পষ্ট। এ ছবি পোস্ট করার পর তাঁর ফ্যানরাও রীতিমতো মশকরায় যোগ দিয়েছেন।

[ নারাজ সলমন, ফের সিনেমার গান হাতছাড়া অরিজিতের ]

নীরব কাণ্ড ফাঁস হওয়ার পর শিরোনামে উঠে এসেছিলেন লেখক রবি সুব্রহ্মণম। তাঁর বই ‘ইন নেম অফ গড’ নিয়ে শুরু হয়েছিল আলোচনা। যেখানে প্রতারকের নাম ছিল নীরব চোখসি। আশ্চর্য মিল মেহুল চোখসি ও নীরব মোদির সঙ্গে। সেখানে হীরের ব্যবসায়ী হিসেবেই লেখক তাঁর চরিত্রকে তুলে ধরেছিলেন। কী করে এত মিল হল? লেখক জানিয়েছেন, পুরোটাই কাকতলীয়। যখন চরিত্রের নাম বাছেন, তখন আশেপাশের দিকেই তাকান লেখকরা। তিনিও তাই করেছিলেন। সেখান থেকেই এরকম নাম উঠে এসেছিল। লেখকরা যে দূরদ্রষ্টা হন তা নিয়েই আলোচনা জমেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখন সেই আলোচনাই খানিকটা গড়িয়েছে রীতেশের ছবিকে কেন্দ্র করে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement