সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই কবে থেকে বিবাদ চলছে বলুন তো! কঙ্গনা রানাউত বনাম হৃতিক রোশন! প্রেম বনাম অবৈধ সম্পর্ক! জবানবন্দি বনাম মিথ্যাচার! এত কিছু পেরিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত থানা-পুলিশ! সাক্ষাৎকারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত পরস্পরের বিরুদ্ধে খারাপ খারাপ কথা! সেই সবের পরে আপাতত আইনি যুদ্ধে শেষ হাসিটা কিন্তু হাসছেন কঙ্গনা রানাউতই! এবং, মুখ চুন হয়ে গিয়েছে হৃতিক রোশনের!
ব্যাপারটা কী?
খেই ধরিয়ে দেওয়া যাক একটু আগে থেকে! মনে আছে কঙ্গনা রানাউত বলেছিলেন, নাম ভাঁড়িয়ে হৃতিক রোশন ই-মেল মারফত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সেই সময় হৃতিক সমানে বলে গিয়েছিলেন, ওই মেলগুলো তিনি পাঠাননি, নেপথ্যে রয়েছেন অন্য কেউ! পুরোটাই কঙ্গনার সাজানো ঘটনা! এবার মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের জয়েন্ট কমিশনার সঞ্জয় সাক্সেনার বিবৃতিতে সেই রহস্যে কিছুটা হলেও আলো পড়ল। জানা গেল, হৃতিকের দাবি মতো সেই অন্য ব্যক্তির কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে এখন সন্দেহের তির নায়কের দিকেই যাচ্ছে!
সঞ্জয় সাক্সেনা জানিয়েছেন, মুম্বই পুলিশ ওই মেল-আইডির সূত্র ধরে খুব বেশি তদন্ত করতে পারছে না। কেন না, ওই আই-ডির সার্ভার ইউএস থেকে পরিচালনা করা হয়। ফলে, মুম্বই পুলিশের হাতে খুব বেশি কোনও তথ্য নেই। তবে যেটুকু তদন্ত হয়েছে, তার ভিত্তিতে বলাই যায় অন্য কোনও ব্যক্তি এই মেল চালাচালির নেপথ্যে নেই!
স্বাভাবিক ভাবেই মুম্বই পুলিশের এই বিবৃতিতে মুখে হাসি ফুটেছে কঙ্গনা শিবির এবং নায়িকার। নায়িকা নিজে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। খুব সম্ভবত আইনি জটিলতার কথা মাথায় রেখেই! তবে তাঁর আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। “মুম্বই পুলিশ তদন্তের পরে এই যে অন্য কোনও ব্যক্তিকে খুঁজে পেল না, সেটা জেনে আমাদের ভাল লেগেছে। সেটাই তো স্বাভাবিক! কঙ্গনা তো আগাগোড়াই বলছিলেন, অন্য কোনও ব্যক্তি এই মেলগুলো তাঁকে পাঠাননি”, জানিয়েছেন সিদ্দিকি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.