সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বসন্ত শেষে এবার রাঙিয়ে দিয়ে যাওয়ার পালা৷ রং থাকবে আর ভাং থাকবে না, তা হয় নাকি? সারাদিন ধরে একে-অপরকে রাঙিয়ে দেওয়ার পর ভাং খেয়ে নেশারু অবস্থায় বাড়ি ফেরেন অনেকেই৷ কিন্তু দোলের দিনে ভাং খাওয়ার পর কীরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল সেলেবদের৷ রঙের উৎসবের আগে হাসি মুখে সেকথাই শেয়ার করলেন তাঁরা৷
বাংলাদেশে দোলে ভাং খাওয়ার সেভাবে চল নেই৷ কলকাতায় এসেই ভাংয়ের সঙ্গে পরিচিতি জয়া আহসানের৷ হোলি উপলক্ষে তিন-চার বছর আগে কলকাতায় এক বন্ধুর বাড়িতে পার্টি করেন তিনি৷ সেখানেই ভাং বানানো হয়৷ ওই ভাংয়ের মধ্যে না জেনেই প্রায় কয়েক কিলো সন্দেশ এবং মিষ্টি মেশানো হয়েছে৷ তারপর ওই ভাং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে খেয়ে নেন জয়া৷ আর এরপরই ঘটে আসল কাণ্ড৷ নেশার ঘোরে রোদের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধুদের সঙ্গে নেচেছিলেন অভিনেত্রী৷
অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীর অবশ্য সেরা ভাং তৈরির জন্য বন্ধুমহলে একটা আলাদা পরিচিতি আছে৷ দোলের আগে ১২-১৩ বছর আগের একটি ঘটনা আজও মনে পড়ে অভিনেত্রীর৷ বন্ধুর বাড়িতে গেট টুগেদার ছিল সেদিন৷ খাওয়াদাওয়ার পর ভাং বানানোর দায়িত্ব ছিল অভিনেত্রীর৷ দুষ্টুমি করেই তাতে মিশিয়ে দেন রসগোল্লা৷ ব্যস! ওই ভাং যাঁরা খেয়েছিলেন তাঁরা আজও তনুশ্রীকে মনে রেখেছেন৷
ভাং খেয়ে গোটা রাস্তাটাই সিঁড়ির মতো মনে হয়েছিল ইমন চক্রবর্তীর৷ তখন ইমন রবীন্দ্রভারতীতে পড়তেন৷ ওই অবস্থাতেই রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের বসন্তোৎসবে নাকি গানও গেয়েছিলেন৷
তখন সবে সবে প্রেম করছেন অভিনেত্রী মধুমিতা চক্রবর্তী৷ সৌরভের হাত ধরে গিয়েছিলেন বিডন স্ট্রিটে৷ সঙ্গে বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধব৷ সে বছরই দোলে প্রথমবার বন্ধুদের অনুরোধে ভাং খেয়েছিলেন মধুমিতা৷ বাড়ি ফিরে সেদিন নাকি জল ছাড়া আর বিশেষ কিছুই খেতে হয়নি অভিনেত্রীকে৷
পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর ভাং খাওয়ার পরবর্তী অবস্থা যদিও এক কথায় ভয়ংকর৷ ভাংয়ের নেশায় বুঁদ হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজ৷ প্রতিবেশীরা নানা প্রশ্ন করলেও, সেদিন নেশার ঘোরে নাকি মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তিনি৷ আজও যখনই সেই স্মৃতি মনে পড়ে তখনই হেসে ওঠেন পরিচালক৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.