Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রেমের পরত খুলতে খুলতে এগোল ‘তৃতীয় অধ্যায়’

দেখতে যাওয়ার আগে জেনে নিন কেমন হল ছবিটি।

Tritiya Adhyay movie review
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:February 8, 2019 4:13 pm
  • Updated:February 8, 2019 4:25 pm  

চারুবাক: সত্যিই ভাবলে অবাক লাগে, এখনকার টালিগঞ্জে অধিকাংশ পরিচালক প্রেম-প্রতিশোধ-রহস্য নিয়েই মেতে আছেন। তখনকার বিশৃঙ্খল সময়টা কোনওভাবে তাঁদের উত্তেজিত করছে না। মুম্বই বা কেরলে যেমনটি ঘটেছে এখানে তাঁর ছিটেফোঁটাও নেই। চলমান বাস্তবের প্রতি এমন অনীহা তো বাংলা ও বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্যেক মধ্যে পড়ে না। প্রায় সকলেই এখন পারস্পরিক ত্রুটি ধরতে ব্যস্ত। ফলে আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সিনেমা। সিনেমারক অগ্রগতি। তবুও মন্দের ভাল, তরুণ পরিচালক মনোজ মিচিগান সিনেমার ফর্ম নিয়ে কিছু পরীক্ষার চেষ্টা করলেন তাঁর নতুন ছবি ‘তৃতীয় অধ্যায়’-এ।

প্রেম এবং রহস্য এই দুটি তাঁর চিত্রনাট্যের বিষয়। রয়েছে দুটি প্রেম। একটি কলেজের প্রেম- মৌসুমি ও সৌরভকে নিয়ে, অন্যটির নায়ক-নাযিকা আবির ও পাওলি। একটি প্রেম শেষ হলে অন্যটির জন্ম। কিংবা দর্শকের মনে হতেই পাকে একটি অন্যটির সিক্যুয়েল। এখানেই চিত্রনাট্যে ধাঁধাঁটি তৈরি করেছেন মনোজ।

Advertisement

সত্যের ‘মুখোমুখি’ দাঁড় করিয়ে দিলেন কমলেশ্বর ]

ছবি শুরু হয় আবিরের চরিত্র অর্থাৎ কৌশিকের দেওঘরের পাহাড়-ধুলো মাখা গ্রামে। তাঁর বাবা এস কে মুখার্জি নামে একজন লেখককে খুঁজছে। কেন, সেটা পরে জানা যায়। ওখানেই অতর্কিতে সে দেখা পায় পাওলি অর্থাৎ শ্রেয়ার। প্রায় পাশাপাশি মনোজ জায়গা দিয়েছেন মৌসুমি-সৌরভের প্রেমকে। যে প্রেম শরীর ছুঁতে চায়, কিন্তু পারেন না। যখন পারে, তখন স্বাভাবিক ‘অঘটনটাই’ ঘটে যায়। চারটি চরিত্রের প্রেম ও সংকট নিয়ে গল্পটা কিছুটা ধোঁয়াশায় ঢাকা যেন। কলেজের তরুণই কি এখনকার কৌশিক? শ্রেয়াই কি মৌসুমি? এই জটিলতার প্যাঁচ খোলা হয়নি চিত্রনাট্যে। কিন্তু ছবি দেখার উপভোগ্য দিক হল ফর্মটা। ‘পর্ব’, ‘অধ্যায়’, ‘পৃষ্ঠা’ উল্লেখ করে চিত্রনাট্যকে যেভাবে বাগ করা হয়েছে, সেখানেই লুকিযে আছে পরিচালকের অভিনব চিন্তাভাবনা। প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যায়ের পর তৃতীয়তে এসে আটকে যান পরিচালক। কৌশিকের ভাড়াটে খুনি হওয়া, প্রেমে ব্যর্থতার কারণে আত্মধ্বংসের দিকে তার এগোন বা শ্রেয়ার দূর পাহাড়ি গ্রামে বোটানির গবেষণা ইত্যাদি ব্যাপারগুলো কোনওভাবেই মূল গল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় না। আরোপিত লাগে। অথচ সিনেমার ফর্মটি রীতিমতো সাহসী। ওরিনের সুরে দু’টি গান, সুপ্রিয় দত্তর ক্যামেরা নিশ্চিতভাবেই ছবি মূল্য বাড়িয়েছে। পাওলি-আবির এবং মৌসুমি অভিনয়ে যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু ফর্মের চমকের সঙ্গে বিষয়ের মেলবন্ধন না ঘটায় ‘তৃতীয় অধ্যায়’ শুধুই দৃষ্টিনন্দন চমকই রয়ে গেল।

‘এক লড়কি কো দেখা তো…’ ক্যায়সা লগা? জমাট বাঁধল প্রেমকাহিনি? ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement