Advertisement
Advertisement
ভূতচক্র

জমজমাট চিত্রনাট্যেই উতরে গেল হরনাথের ‘ভূতচক্র প্রাইভেট লিমিটেড’

কেমন হল হাসির মোড়কে ভূতের গল্প?

The review of Birsa Dasgupta's movie Bhootchakra Pvt. Ltd.
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:July 6, 2019 3:48 pm
  • Updated:July 6, 2019 9:31 pm  

চারুবাক: গত পাঁচ বছর ধরেই ছেলে হিন্দোল চক্রবর্তীর সহচর্যে বাবা হরনাথ চক্রবর্তীর সিনেমা ভাবনার ‘পরিবর্তনটা’ আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রায় এক-দেড় দশক ধরে অর্জুনের লক্ষ্যভেদের মতো যাঁর সাফল্য ছিল বক্স অফিসের কাউন্টার, সেই হরনাথ এখন পথ বদলেছেন। তা সত্ত্বেও অন্য ধারার ছবি ‘ধারাস্নান’-এর পর তাঁর তিন নম্বর ছবি ‘ভূতচক্র প্রাইভেট লিমিটেড’ একেবারেই বক্স অফিস লক্ষ্যহীন বলা যাচ্ছে না। এখনকার বাংলা ছবির বাজারে ভূত আর গোয়েন্দা- এই ফর্মুলাটি মাথায় রেখেই হরনাথের অনুরোধে চিত্রনাট্য লিখেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত।

যদিও হাসির এলিমেন্টের মধ্যে দর্শককে কাতুকুতু দিয়ে হাসানোর চেষ্টাই বেশি। তবে বাড়ির জ্যান্ত মানুষগুলো হঠাৎই বায়বীয় হয়ে কদাকার চেহারা নিয়ে ‘ভূত’-এ পরিণত হলে হাসি আর রহস্যটা মন্দ জমে ওঠে না। আবার এরই মধ্যে পেত্নী-ভূতের সঙ্গে মানুষের প্রেম, রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার মতো ঘটনা স্বতঃস্ফুর্ত হাসিকে আটকেও দেয় দু-তিনবার। হাসি-মজা-রহস্য-ভূতের এমন কেত্তনের মধ্যে খুন-গোয়েন্দাগিরি-সম্পত্তির লোভ এসব ব্যাপারগুলো মশলাদার করে মাখিয়েছেন চিত্রনাট্যকার। আর সেই ম্যারিনেট করা চিত্রনাট্যকে গোপী ভগতের ঢিমে আঁচ আর রাজনারায়ণ দেবের প্রচলিত ভূতুড়ে সংগীতের আবহ মিলিয়ে রান্নাটি মন্দ হয়নি। ফলে ছবির মধ্যে কাণ্ডজ্ঞানহীন ঘটনাগুলোও খোলা মনে উপভোগ করতে পারবেন। তবে সামাজিক বোধ ও দায়িত্বের আরও একটু পরিণত স্ফুরণ দেখাতে পারলে গল্পটি মান্যতা পেতে পারে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: পরিকল্পনা বোধের অভাব স্পষ্ট, ‘নেটওয়ার্ক’ দর্শকের সীমার বাইরে ]

তবু হরনাথ যে তাঁর চেনা ছক ছেড়ে বেরিয়ে একটু অন্যপথে হাঁটতে চাইছেন- এটাই প্রশংসার। সিরিয়াস গোয়েন্দা কাহিনি বা রাজনীতির মোড়কে ভূতের গপ্পো কিংবা ব্যক্তি সমস্যার গভীরতা এড়িয়ে ভূত আর মানুষের বন্ধুত্ব-ভয়-প্রেম নিয়ে এক অভিনব স্বাদের ছবি বানালেন হরনাথ। বাণিজ্য ফর্মুলা মেনেও তিনি কিঞ্চিৎ ব্যতিক্রম।

কমেডি ছবি মানেই শিল্পীদের অভিনয় জোরদার হতে হবে। অনুপ-ভানু-জহর নেই। শুভাশিস-বিশ্বনাথ-লামাও গরহাজির। অথচ তিন নায়ক সোহম-বনি-গৌরবদের নিয়ে হরনাথ কিন্তু অ্যাসম্বলটা মন্দ সাজাননি। বিশেষ করে গৌরব আর বনি। সঙ্গে থাকা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমিত সমাদ্দার, কৌশিক সেন, শ্রাবন্তী, ঋত্বিকা সেন ভূত ও মানুষ হয়ে ভাল-মন্দ মিশিয়ে ছবির ইউএসপি বাড়িয়েছেন বই কমাননি। তবে হরনাথকে কিন্তু আপোষহীন ভাল ছবি বানানোর জন্য এখন রীতিমতো লড়াই চালাতেই হবে।

[ আর পড়ুন: জাতিপ্রথার মূলে কুঠারাঘাত হানল আয়ুষ্মানের ‘আর্টিকল ১৫’ ]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement