আকাশ মিশ্র: এমনিতেই বলিউডের গায়ে নেপোটিজমের দাগ। কঙ্গনা রানাউতের রোষে করণ বহুবার বিদ্ধ হয়েছেন নেপোটিজমের কাঁটায়। আপাতদৃষ্টিতে জোয়া আখতারের ‘দ্য আর্চিস’ এই নেপোটিজমেরই ফসল। অন্তত, ২ ঘণ্টার এই ছবি দেখে এমনটাই মনে হবে। যেখানে একঝাঁক স্টারকিড রয়েছেন। দুর্দান্ত লোকেশন রয়েছে। ক্যামেরার কারসাজি রয়েছে। মিউজিক রয়েছে। একটা সংগ্রাম, বিপ্লব রয়েছে। এতকিছু থাকা সত্ত্বেও, যা নেই, তা হল অভিনয়। হ্যাঁ, জোয়া আখতারের মতো মাস্টার পরিচালক পেয়েও, ৭ স্টারকিডের দল অভিনয়টা জমাতে পারেননি। অবশ্য তাঁরা সেজেছেন, নেচেছেন, প্রেম করেছেন। কিন্তু সবই বড্ড কাঠ কাঠ।
‘দ্য আর্চিস।’ আমেরিকান ‘আর্চি’ কমিকসের থেকেই চরিত্রগুলো ধার করেছেন জোয়া। গল্পে টেনে এনেছেন বন্ধুত্ব এবং পরিবেশ বাঁচানোর লড়াইকে। বহুতল, শপিংমলে ভরে যাওয়া শহর যখন দমবন্ধ অবস্থায় গুমড়ে মরছে, ঠিক তখনই তরতাজা হাওয়ার গল্প বলেছেন জোয়া। তাও বলিউডের একঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে। এটা জোয়ার কাছে ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। ছবির লুকে জোয়া জিতে গিয়েছেন। কিন্তু ঝলক ঝকঝকে থাকলেও, ছবি কিন্তু নজর কাড়তে পারেনি।
জোয়ার ‘আর্চিস’, স্টাইলিস ছবি। যেখানে প্রত্যেকটি চরিত্রের ওঠা-বসা, হাঁটা-চলাকে খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়ে সামনে এনেছেন। কিন্তু গণ্ডগোল বাঁধিয়েছেন অভিনেতারাই। খুশি কাপুর, সুহানা খান, অগস্ত্যা নন্দা, বেদাঙ্গ রায়না, মিহির আহুজা, অদিতি ডট, যুবরাজ মেন্দারা যেন অভিব্যক্তিহীন। সংলাপেও তাঁরা সাবলীল নয়। আসলে, ‘দ্য আর্চিস’ আধা রান্না খাবারের মতো। যেখানে মশালা পরিমাণমতো ছিল। কিন্তু শেষমেশ রান্নাটা জমল না।
তাহলে কি কিছুই ভালো না দ্য আর্চিসের?
ভালো। জোয়ার গল্প বলার ধরনটা ভালো। বিষয় ভালো। ৭ জনের মধ্যে অল্পের মধ্যে ভালো অমিতাভের নাতি অগস্ত্যা ও শ্রীদেবীকন্যা খুশি কাপুর। তবে আশাহত করেছেন শাহরুখকন্যা সুহানা খান। যে সুহানা নাটকের মঞ্চে নজর কাড়েন, তার একটু ঝলকও পাওয়া গেল না ‘দ্য আর্চিস’ ছবিতে।
শেষমেশ বলতে হয়, ৭ স্টারকিডের এটাই প্রথম ছবি। এদের লম্বা কেরিয়ার। প্রথমটা থেকে শিক্ষা নিলে হয়তো এরাও পরে স্টার হয়ে উঠতে পারবে। পরিচালক জোয়া, তাঁদের এই আকাশটা দিয়েছেন ‘আর্চিস’ ছবিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.