সুপর্ণা মজুমদার: চোখ ধাঁধানো রেস্তরাঁর খানাখাজানা নয়, ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ (Indubala Bhaater Hotel) মানে কচু বাটা, আর মাছের ঝোলের স্মৃতি। আসলে এ মানুষ আর সময়ের গল্প। যে সময় অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতের সাক্ষী। হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নতুন এই সিরিজের সবচেয়ে বড় পাওনা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly) ও স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়।
তিন সময়ের স্তরে ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ সিরিজের কাহিনি সাজিয়েছেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য। একটিতে ইন্দুবালার বাপের বাড়ি কলাপোতার স্মৃতি, একটি তার বিবাহিত জীবনের স্মৃতি, আরেকটি বর্তমানের। যেখানে কলেজ পড়ুয়া তথা ব্লগার ইন্দুবালার ভাতের হোটেলে নিজের আশ্রয় খুঁজে নেয়।
একেকটি রান্নার স্মৃতি হিসেবে গল্প এগিয়েছে। আর তা পুরোপুরি ইন্দুবালা কেন্দ্রিক। কল্লোল লাহিড়ীর লেখা কাহিনি অবলম্বনে তৈরি সিরিজের দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন শুভশ্রী। গলার স্বর যেমন পালটে ফেলেছেন, তেমনই বয়স্ক মানুষের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ খুবই সুন্দরভাবে আয়ত্ত করেছেন অভিনেত্রী। আর তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছে সোমনাথ কুণ্ডুর মেকআপ। এমন কাজ এ বাংলায় শুধু তিনিই করতে পারেন।
আরেকজনের কথা না বললেই নয় লক্ষ্মীর ভূমিকায় স্নেহা চট্টোপাধ্যায়। ইন্দুবালার জীবনের মতোই এ সিরিজের চারটি এপিসোডে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। মিঠু চক্রবর্তী, প্রতীক দত্ত, অঙ্গনা রায় এবং দেবপ্রতীম দাশগুপ্তর অভিনয়ও বেশ ভাল। সিরিজের প্রথম চারটি এপিসোডে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা অল্প। আশা করা যায় আগামী এপিসোডগুলোতে তাঁর ভূমিকা আরও ভালভাবে জানা যাবে। যদি এ চারটি এপিসোডের কথা বলতে হয়, তাহলে বলা যায় তিন ও চার নম্বর এপিসোডের কয়েকটি জায়গা ধীর গতির মনে হলেও দেবালয় ভট্টাচার্যর ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ সেই বাঙালির মন ছুঁয়ে যাবে, যাঁদের অন্তরে এখনও ‘পাখিদের স্মৃতি কিছু রীতি নীতি…’ রয়ে গিয়েছে। অতএব পরের এপিসোডগুলির অপেক্ষায় রইলাম।
সিরিজ – ইন্দুবালা ভাতের হোটেল
অভিনয়ে – শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, প্রতীক দত্ত, দেবপ্রতীম দাশগুপ্ত, অঙ্গনা রায়, পারিজাত চৌধুরী, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, মিঠু চক্রবর্তী প্রমুখ
পরিচালনায় – দেবালয় ভট্টাচার্য
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.