আকাশ মিশ্র: বউমা এল ঘরে। তাঁকে বরণ করে বাড়ির ভিতর নিয়ে আসলেন শাশুড়ি। নতুন সংসারে পা রেখে নতুন বউয়ের চোখে রঙিন রঙিন স্বপ্ন। কিন্তু হঠাৎই যদি সেই স্বপ্নে এগিয়ে আসে লোমশ দুটো কালো হাত! হঠাৎ যদি ঘরের পাশের বারান্দায় ছায়মূর্তি ঘোরাফেরা করে! তাহলে? পরিচালক অয়ন দের নতুন ছবি ‘ভয় পেও না’র শুরুটা এরকমই। ছবির প্রথম থেকেই পরিচালক একের পর এক রহস্য তৈরি করতে শুরু করেন। সঙ্গে যোগ হতে থাকে শাশুড়ি-বৌমার লড়াই। হ্যাঁ, ‘ভয় পেও না’ (Bhoy Peo na) ছবির মূল প্রেক্ষিত বউমা ও শাশুড়ির ইগো যুদ্ধ। যার মধ্যে পরিচালক অয়ন ঢেলেছেন ভয়ের ছবির উপাদান। ঘরানায় ফেলতে হলে এই ছবি সাইকোলজিক্যাল ফ্যামিলি ড্রামা। বিষয় নির্বাচনে সত্যিই অভিনবত্ব দেখিয়েছেন পরিচালক অয়ন। যার জন্য অবশ্যই বাহবা দেওয়া উচিত তাঁকে। তবে সেই বিষয়কে ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে গিয়েই গণ্ডগোল করে ফেললেন তিনি। ফলে ছবিটা দারুণ শুরু হয়েও, দ্বিতায়ার্ধ থেকে ছবিটির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায়।
ছবির রহস্য ফাঁস না করেই গল্পটা একটু ছুঁয়ে নেওয়া যাক। আকাশের (ওম) সঙ্গে বিয়ে হয় অনন্যার (শ্রাবন্তী)। নতুন সংসারে পা রাখে অনন্যা। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই সে টের পায় কিছু একটা গণ্ডগোল রয়েছে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। এমনকী, ধীরে ধীরে অনন্যা বুঝতে পারে শাশুড়ি মায়ের আচরণও স্বাভাবিক নয়। হঠাৎ করেই নানারকম ভৌতিক কাণ্ড ঘটতে থাকে অনন্যার সঙ্গে। সত্যিই কি ভূত রয়েছে, নাকি অন্য কোনও রহস্য! মূলত, এই গল্পই এগিয়ে চলে এই ছবিতে। তবে রহস্য ছবির প্রথমার্ধে দানা বাঁধলেও, ছবি এগোতেই প্রচণ্ড প্রেডিক্টেবল হয়ে যায়।
এই ছবি একেবারেই শ্রাবন্তীর (Srabanti Chatterjee) ছবি। এমন কোনও ফ্রেম নেই, যেখানে শ্রাবন্তী নেই। তবুও এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। বরং বহুদৃশ্যেই শ্রাবন্তীর অতিনাটকীয় অভিনয় দৃশ্যগুলোকে দুর্বল করে তোলে। যতটা সুযোগ পেয়েছেন, ওম তাতে যথাযথ। অন্যদিকে, বিবেক ত্রিবেদী অল্প পরিসরে বেশ ভাল। দর্শনা বণিকের আইটেম নাচ দেখতে ভাল লাগবে। গানগুলোও বেশ ভাল। তবে চিত্রনাট্য যদি আরেকটু শক্তপোক্ত হত তাহলে হয়তো এই ছবি কিছুটা হলেও দর্শকের আগ্রহ ধরে রাখতে পারত।
ভয় পেও না
পরিচালক- অয়ন দে
অভিনয়- শ্রাবন্তী, ওম সাহানি, বিবেক ত্রিবেদী, দর্শনা বণিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.