আকাশ মিশ্র: একটি পরিবার। ক্রাইসিস। আর রহস্য। এই তিনটি উপাদান পরিচালক সায়ন্তন ঘোষালের খুবই প্রিয় বিষয়। তাই তো ওটিটি প্ল্যাটফর্মে পর পর এরকমই বিষয় নিয়ে ওয়েব সিরিজ তৈরি করলেন সায়ন্তন। কয়েকদিন আগেই যেমন মুক্তি পেয়েছিল ‘ইন্দু’। আর এবার ‘সম্পূর্ণা’ (Sampurna)। দুটো সিরিজের ছক প্রায় একই। শুধু তফাৎ হল ‘সম্পূর্ণা’ সিরিজে সায়ন্তন তুলে আনলেন বৈবাহিক ধর্ষণের মতো সামাজিক সমস্যাকে। ‘সম্পূর্ণা’ সিরিজের গল্পে সেভাবে নতুনত্ব নেই। এমনকী, গল্প বলার কায়দাতেও সেভাবে ছক ভাঙেননি সায়ন্তন। তাই প্রথম দুই এপিসোডের পর ‘সম্পূর্ণা’র গল্প কোন দিকে এগোচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে যায়। তাই এই সিরিজ খুবই প্রেডিক্টেবল।
‘সম্পূর্ণা’র গল্পকে মোট ছটি এপিসোডে ভাগ করেছেন সায়ন্তন। প্রথম দুই এপিসোডে ব্যাকগ্রাউন্ড ধরতেই কাটিয়ে দিয়েছেন পরিচালক। তিন নম্বর থেকেই আসল গল্প এগোতে থাকে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ‘সম্পূর্ণা’ সিরিজ নতুন কোনও চমক দিতে পারে না। বরং ট্রেলারেই বেশিরভাগটা দেখা গিয়েছিল। তাই সাসপেন্স বলে তেমন কিছু ছিল না মূল সিরিজে।
‘সম্পূর্ণা’ সিরিজে সোহিনীর ছোট জা হলেন অভিনেত্রী রাজনন্দিনী পাল। রাজনন্দিনী পালের স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনুভব কাঞ্জিলাল। সিরিজে প্রতি রাতেই রাজনন্দিনীর উপর পাশবিক অত্যাচার করেন অনুভব। সব জেনে চুপ করে থাকেন তাঁর ‘ভাসুর’ ওরফে অভিনেতা প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘শাশুড়ি’ লাবণী সরকার, ‘শ্বশুর’ রজত গঙ্গোপাধ্যায়।
সহজ কথায় বলতে গেলে এই সিরিজ একেবারেই অভিনয়ের জন্য দেখতে পারেন। কারণ, ‘সম্পূর্ণা’ সিরিজে সোহিনী নিজের একশো শতাংশ উজাড় করে দিয়েছেন। প্রতিটি ফ্রেমে অসাধারণ তিনি। অভিনয়ের দিক থেকে সোহিনীর পর যার নাম আসে, তিনি হলেন লাবণী সরকার। অনেকগুলো শেড রয়েছে তাঁর চরিত্রে। কখনও মা, কখনও শাশুড়ি, কখনও আবার সব সম্পর্ক ভুলে নারীর প্রতীক। সোহিনী ও লাবণীর অভিনয়ই এই সিরিজের সেরা প্রাপ্তি। বিষয় হিসেবে বৈবাহিক ধর্ষণকে বেছে নেওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই বাহবা প্রাপ্তি সায়ন্তনের। তবে চিত্রনাট্য আরও একটু শক্তপোক্ত হলে সিরিজটি জমে যেত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.