আকাশ মিশ্র: আলিয়ার মতো ভাল বউ তো জুটল। খুব তাড়াতাড়ি সন্তানের বাবাও হবেন। তবে ছবির ক্ষেত্রে যে রণবীর কাপুরের (Ranbir Kapoor) কপালটা সঙ্গ দিচ্ছে না, তার জলজ্যান্ত প্রমাণ ‘শমশেরা’। তিনি খেটেছেন, বলা ভাল মারাত্মক খেটেছেন। লুক থেকে অ্যাকশন, অভিনয়ে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। কিন্তু লাভের লাভ কিচ্ছুটি হল না। কারণ, ছবির বস্তাপচা গল্পে, দুর্বল চিত্রনাট্যে একেবারে মধ্যমানের ছবি হয়ে দাঁড়াল ‘শমশেরা’। দু’ঘণ্টা বসে থাকা বেশ কষ্টকর।
ছবিটি আদ্যপান্ত পিরিয়াড ছবির স্টাইলে তৈরি। ছবির প্রেক্ষাপট ১৮০০ সালের পরাধীন ভারতবর্ষ। অত্যাচারী ধনী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে ‘শমশেরা’। অত্যাচার থেকে নিজের লোকদের স্বাধীন করতে চায় সে। কিন্তু এক ভয়ানক ষড়যন্ত্রের শিকার হয় শমশেরা । ব্রিটিশ রাজের অধীনে কর্মরত শুদ্ধ সিং (সঞ্জয় দত্ত) নামের এক ভারতীয় অফিসার তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। মৃত্যু হয় শমসেরার। এই ঘটনার ঠিক ২৫ বছর পর শমশেরার ছেলে বল্লি বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেই। ফের শুরু হয় বিপ্লব। শমশেরা ও বল্লি দুই চরিত্রেই অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর।
গল্প একেবারেই আগে থেকে আন্দাজ করা যায়। এমনকী, আপনি ঠিক যেভাবে ভাবছেন, ঠিক সেভাবেই এগিয়ে চলবে গল্প। চমক কিছুই নেই। তবে হ্যাঁ, ছবির সিনেম্যাটোগ্রাফি ও ভিএফএক্স নজর কাড়ার মতো। যা দেখতে ভালই লাগে। কিন্তু ছবিতে যদি গল্পই না থাকে, তাহলে শুধু ভিএফএক্স দিয়ে আর কতটা টানা যায়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার এই ছবি দেখতে বসে, আমির খানের ‘ঠগ অফ হিন্দুস্থান’ ছবির কথা মনে পড়তে বাধ্য। কেননা, দুটো ছবির গল্পে বেশ মিল রয়েছে।
অভিনয়ের দিক থেকে রণবীর একাই একশো শতাংশ দিয়েছেন। দুই চরিত্রেই দারুণ তিনি। এমনকী, কিছু দৃশ্যে সঞ্জয় দত্তর দিকেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন রণবীর। সে দৃশ্যগুলোই একমাত্র প্রাপ্তি এই ছবির। বাণী কাপুর এই ছবিতে শুধুই আছেন গান, নাচের জন্য। তাঁর অভিনয়ের সুযোগ খুবই কম। ছবির মিউজিক খারাপ নয়। তবে দুঘণ্টার একটু বেশি দৈর্ঘ্যের এই ছবিতে কোলাহলই বেশি। যা কিনা একটা সময় মাথা ব্যথার কারণ হয়। শেষমেশ বলতে গেলে, রণবীর চেষ্টা করেছেন। তবে ছবির পরিচালক করণ মালহোত্রার খুবই অযত্নে ছবিটি তৈরি করেছেন তার প্রমাণ রয়েছে প্রতিটি দৃশ্যেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.