আকাশ মিশ্র: একে একে বলিউডের সব অভিনেতারাই ওটিটিতে পা রাখছেন। সদ্য মুক্তি পেয়েছে মাধুরী দীক্ষিতের ‘ দ্য ফেম গেম’। আর এবার অজয় দেবগনও (Ajay Devgan) চলে এলেন সিরিজে। আর শুধু আসেননি, এলেন এবং জয় করলেন অজয়। প্রথমেই বলে রাখি, এই সিরিজ বিবিসির ‘লুথার’ সিরিজের অফিসিয়াল রিমেক। তাই যাঁরা আগে ভাগে এই ইংরেজি সিরিজ দেখে ফেলেছেন, তাঁদের কাছে ‘রুদ্র’ শুধুমাত্র বলিউডি রিমেক ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে রিমেক করতে গিয়ে বৃটিশ সিরিজকে একেবারেই চোখ বুজে অনুকরণ করেননি পরিচালক রাজেশ মাপুসকরের। বরং এদেশের রং ঢেলেছেন এই সিরিজে।
যেহেতু রুদ্র সাইকোলজিক্যাল ক্রাইম থ্রিলার, সেহেতু গল্পটা ঠিক কি, তা বলা একেবারেই উচিত নয়। শুধু বলা যায়, ডিসিপি রুদ্রবীর সিং ওরফে অজয় দেবগনের রহস্যের জট ছাড়াতে গিয়ে কীর্তিকলাপকেই তুলে ধরে এই সিরিজ। নিপুণ সম্পাদনায় প্রতি এপিসোডের শুরু থেকে শেষ একেবারে টান টান। পরিচালক শুধুমাত্র ক্রাইমেই আটকে থাকেননি, তার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, রুদ্রর ব্যক্তিগত জীবন ও অসুখী দাম্পত্যকেও।
রুদ্র সিরিজের প্রাণভোমরাই হল অজয় দেবগন। তাঁর হাতেই সিরিজের লাগাম। আর এই সুযোগ একশো শতাংশ ব্যবহার করেছেন তিনি। তবে সিরিজে অজয়ের একচেটিয়া আধিপত্য যেমন সিরিজের শক্তিশালী দিক, তেমনি অনেক সময়ই অজয়ের এই দাপট বেশ চোখে লাগে। কারণ, রুদ্র হয়ে অজয় যেন অন্য কোনও চরিত্রকে আকারই পেতে দেন না। অজয় যদি অন্য অভিনেতাদের একটু সুযোগ দিতেন, তাহলে হয়তো সিরিজটা অন্যমাত্রা পেতে পারত। তবে অজয়ের দাপটের মাঝেই নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী রাশি খান্না।
এই সিরিজের আরও একটি ভাল দিক হল, প্রত্যেকটি এপিসোডই রহস্যের মেজাজ ধরে রাখে। আর শেষপর্যন্ত দর্শকদের আগ্রহকে ধরে রাখতে স্বচেষ্ট হয়। খামতিও অবশ্য রয়েছে। রুদ্রর চরিত্রে ব্যক্তিগত জীবনের অংশগুলো একটু ঘ্যানঘ্যানে। সেটা একটু বাদ দেওয়া যেতই পারত। শেষমেশ বলা যায়, যাঁরা থ্রিলার দেখতে ভালবাসেন তাঁরা রুদ্র সিরিজ দেখতেই পারেন। ৬ এপিসোডের এই সিরিজ আপনার খারাপ লাগবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.