সুপর্ণা মজুমদার: ঘাত-প্রতিঘাত নিয়েই জীবন। বাস্তব সেই জীবনের কাহিনি যখন সিনেমার পর্দায় উঠে আসে। তাতে একটু কল্পনার জল মেশাতে হয়। কিন্তু জল বেশি হয়ে গেলে আসল কাহিনি বেঘোরে প্রাণ হারায়। সোহম চক্রবর্তী ও প্রিয়াঙ্কা সরকার অভিনীত ‘প্রতিঘাত’ (Pratighat Bengali Film) সিনেমার গল্প যথেষ্ঠ বাস্তবসম্মত। তবে তাতে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে।
চন্দুকে (সোহম চক্রবর্তী) কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় সিনেমার গল্প। মস্তান চন্দু কাজ করে স্থানীয় ডনের (সুপ্রিয় দত্ত) হয়ে। তার ইশারাতেই নির্দ্বিধায় মানুষ মেরে ফেলে। কিন্তু চন্দুর মনে রয়েছে প্রেমিকা শ্রেয়াকে (দর্শনা বণিক) হারানোর যন্ত্রণা। এমন পরিস্থিতেই আহত পূজাকে (প্রিয়াঙ্কা সরকার) দেখতে পায় চন্দু। তাকে প্রথমে হাসপাতালে, পরে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। সময়ের দাবি মেনে প্রেমও হয়ে যায়। পূজার কথা ভেবেই অপরাধ জগৎ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চন্দু। ছেড়েও দেয়। কিন্তু তারপর? সেটা না হয় Zee5 প্ল্যাটফর্মে দেখে নিলেন।
ছবির গল্পের মধ্যে প্রচুর টুইস্ট অ্যান্ড টার্ন দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পরিচালক রাজীব কুমার বিশ্বাস (Rajiv Kumar Biswas)। কিন্তু মাঝে মাধ্যেই খেই হারিয়েছেন। পুরো সিনেমায় ধারাবাহিকতার অভাব মনে হয়েছে। কিছু প্রশ্নও জেগেছে। চায়ের দোকানে কাজ করা চন্দু যখন ডাক্তারকে থ্যাঙ্কিউ বলে বিদায় করে, তখন একটু বেমানান লাগে। আবার চন্দুর সঙ্গে সাক্ষাতেই পূজা যখন জানিয়ে দিয়েছিল তার বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে, তাহলে পরে সে চন্দুকে কেন বলল, “আমি কোথা থেকে এসেছি একবার জানতে চাইলে না?”
অভিনেতা সোহম (Soham Chakraborty) পরিচালকের ইচ্ছে মতো কাজ করে গিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা সরকারও (Priyanka Sarkar) গতে বাঁধা সংলাপ বলে গিয়েছেন। তবে প্রিয়াঙ্কার প্রতিভা এর থেকে অনেক বেশি বলেই মনে হয়। দর্শনা বণিকের (Darshana Banik) ও সব্যসাচী চক্রবর্তীর (Sabyasachi Chakraborty) ভূমিকা এতটাই ছোট যে তা নিয়ে বলার বিশেষ কিছু নেই। অযথা কিছু জায়গায় আবহ সংগীতের ব্যবহার করা হয়েছে। সিনেমা ও সিরিয়ালের তফাৎটা একটু বোঝা উচিত ছিল। প্রত্যেক দর্শক আলাদা, তাঁদের পছন্দও আলাদা। তাই নিজেই দেখেশুনে বিচার করে নিতে পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.