সুপর্ণা মজুমদার: এ সিনেমা কেমন সিনেমা? Bhuj: The Pride Of India দেখতে বসে কিছুক্ষণ পরই এ ভাবনা জোর করে মাথায় ঢুকে পড়ল। অপরাধ নেবেন না প্লিজ! নিতান্ত দর্শকের চোখ থেকে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা জানাবো। সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবি। যার শুরুতেই ক্রিয়েটিভ স্বাধীনতা নেওয়ার কথা বলা হয়। সে ভাল, তবে স্বাধীনতার খুব বেশি অপব্যবহার করা উচিত নয়। তাতে আখেরে সিনেমারই ক্ষতি হয়।
একাত্তরের ভারত-পাক যুদ্ধের সময় বায়ুসেনার ভূজ এয়ারস্ট্রিপ ধ্বংস করে দেয় পাকিস্তানের সেনা। স্কোয়ার্ড্রেন লিডার বিজয় কার্ণিকের (Vijay Karnik) নেতৃত্বে তা নতুন করে গড়ে তোলেন ৩০০ জন স্থানীয় মহিলা। বাস্তব এই গল্পই Bhuj: The Pride Of India ছবির ভিত। ২০১৯ সালে ছবিটি তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন পরিচালক অভিষেক দুধাইয়া। ছবিতে বিজয় কার্ণিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অজয় দেবগন (Ajay Devgn)। রাঞ্ছোড়দাস পাগির ভূমিকায় সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt)। এছাড়াও রয়েছেন সোনাক্ষী সিনহা, শরদ কেলকর, নোরা ফতেহি, প্রণিতা সুভাষ এবং পাঞ্জাবি তারকা এমি ভির্ক।
এত সময় পেয়েছিলেন চিত্রনাট্য সাজানোর। এত তারকা। কিন্তু সেই মানের সিনেমা যে হল না। পুরো ছবিতে অযত্নের ছাপ স্পষ্ট। অজয় দেবগন, সঞ্জয় দত্ত, শরদ কেলকরের মতো অভিনেতারাও যেন বড্ড অসহায়। অযাচিত কিছু গান মাঝে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোনাক্ষী সিনহার কেবল সাজসজ্জাই দেখতে ভাল লাগল। মাত্র ছোট্ট একটি কুঠার দিয়ে শ’খানেক পাক সেনাকে মেরে ফেললেন সঞ্জয় দত্ত। আবার এক লাফে শত্রুর ট্যাঙ্কারের উপরে পৌঁছে গেলেন। অজয় দেবগন ট্রাকের উপরে দিব্যি বিমানের ভার বহন করলেন। টাইম বোমা ফাটার বেশ কয়েক সেকেন্ড পর হয়তো অভিনেতার মনে হয়েছিল এবার এক্সপ্রেশন দিতে হবে। সে যা হোক, তবে সবেচেয়ে বেদনাদায়ক পাঞ্জাবি তারকা এমি ভির্কের অভিব্যক্তিহীন অভিনয়। তা কি আদৌ অভিনয় ছিল? সে বিচার আপনি নিজ দায়িত্বে ছবি দেখে করে নিতেই পারেন। তবে ইতিহাস এবং দেশের প্রতি অসম্ভব সম্মান জানিয়েই লিখতে বাধ্য হচ্ছি এ সিনেমা কোনও এক কালে হয়তো দর্শকদের পছন্দ হলেও হতে পারতো, একালের ওয়েব সচেতন দর্শকদের প্রত্যাশা একটু বেশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.