Advertisement
Advertisement

কেমন হল অচিনপুরের ‘অস্কার’? দর্শকের মন কাড়তে পারল?

হলে যাওয়ার আগে এ তথ্য অবশ্যই জেনে রাখুন।

Movie Review: Read this article before watching Oscar
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:July 30, 2018 5:51 pm
  • Updated:July 30, 2018 5:51 pm  

চারুবাক: ত্রিগুণেশ্বর পার্থ সারথি মান্না মহাশয় হাসির ছবি বানাবেন, নাকি কান্নার- সেটাই ঠাওর করতে পারেননি যে! ফলে ‘অস্কার’ নামের ‘বই’টি (সিনেমা পদবাচ্য কখনওই নয়) গাঁটের পয়সা খসিয়ে হলে ঢোকা দর্শকের কাছে কান্নার কারণই হয়েছে। ১৯৯০ সালের কোন এক অচিনপুর গ্রাম। বই শুরুর পাঁচ/সাত মিনিটের মধ্যের ফ্ল্যাশব্যাকে সময় পিছিয়ে গেল তিরাশি সাল। মানে তখন বামফ্রন্টের রাজত্ব। সেই অচিনপুরে তখন প্রতাপশালী জমিদার রুদ্রপ্রতাপ আর জেলে-কন্যা দুর্গার আকচা-আকচিটা কেমন যেন অচিন সময়ের গপ্পো শোনাতে চায়। সেই অচিনপুর আর অচিন সময় বর্তমানে কখনওই ফেরে না। কিংবা ফিরলেও ফরাসি নব-তরঙ্গের সিনেমার কায়দায় যেন ‘টাইমলেস’ হয়ে ওঠে! সত্যিই এঁদের দুঃসাহসের কোনও সীমা পরিসীমা নেই!

হলিউডের ‘অস্কার’ জেতার জন্য একটা সিনেমা বানাতে উদ্যোগী প্রতারক-পরিচালক খরাজ মুখোপাধ্যায়। তার গায়ে কমেডিয়ান স্ট্যাম্প লাগিয়ে টালিগঞ্জের অর্বাচীনরা যাচ্ছেতাই কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। সিনেমার ভিতর সিনেমার গল্পেও কোনও মুড়ো ল্যাজা নেই। অমিতাভ সজ্জন নামে এক নকলি সুপারস্টার নিয়ে অ্যাকশন ফিল্ম বানিয়ে অস্কার জেতার স্বপ্ন দেখা বদ্ধ উন্মাদও করে না। তার উপর শট-টেকিং-এর যে নমুনা! এরই মধ্যে রাতুল নামের একটি সুবেশ তরুণ আর নতুন মুখ আয়ূষি তালুকদারকে ঢুকিয়ে গপ্পে একটা রোমান্টিক অ্যাঙ্গেল আনার কমেডিপনা চেষ্টা কোনও কাজ দেয় না। তার উপর ছবির শেষ পর্বে রুদ্রপ্রতাপ আর দুর্গার মধ্যে চাপা প্রেমের একটা আভাস দেবার প্রয়াস, কেন? সেটা তো শুরু থেকেই দিলে গপ্পো অন্যদিকে মুখ ঘোরাতে পারত।

Advertisement

[‘হ্যাপি পিল’: হাসির মোড়কে বিশ্বাসের কথা]

এমন বোধবুদ্ধিহীন ছবি বানানোর পিছনে অর্থকরী যে ধান্দাটি কাজ করেছে তা হল প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড এখন ওখানে ছবি বানানোর জন্য ভাল অর্থকরী অনুদান দিচ্ছে। সেই অনুদান প্রাপ্তির লোভেই পার্থর মতো ‘সব্যসাচী’ ভাগ্যান্বেষীদের এত দৌড়ঝাঁপ এবং সিনেমাপ্রেম। সিনেমা তৈরির ‘স’ না জেনেই ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে পড়া আর কী! কার্যকারণহীন পারম্পর্য ছাড়াই এলোমেলো চিত্রনাট্যে শিল্পী-অভিনেতারাও রীতিমতো ‘খাবি’ খেয়েছেন! শুধু খরাজ মুখোপাধ্যায় বাদে। সাহেব ভট্টাচার্য, প্রিয়াংশু, অপরাজিতারা বোধহয় নিজেরাও বুঝতে পারেননি-ক্যামেরার সামনে তাঁরা কী কাণ্ড করছেন! আসলে তখনও তাঁদের অবস্থা ছিল ‘টাকা দে মা সটকে বাচি!’

 

[দর্শকের দরবারে কি প্রজাপতি হয়ে উঠতে পারল ইন্দ্রাশিসের ‘পিউপা’?]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement