আকাশ মিশ্র: কখনও উড়ে আসছেন। কখনও হামগুড়ি দিচ্ছেন। কখনও পা ঘুরিয়ে আকাশ ছোঁয়া লাফ! মুখে নানাবিধ মারকাটারি আওয়াজ। কঙ্গনা এলেন, মারপিট করলেন, কিন্তু গল্প থেমেই থাকল! আড়াই ঘণ্টা জুড়ে সিনেপর্দায় ভাল-খারাপের লড়াই। আর বারংবার একই সংলাপ, ‘জিসম সে রুহ অলগ করনা বিজনেস হ্যায় মেরি’। পরিচালক রজনিশ রাজি ঘাইয়ের ‘ধাকড়’ (Dhaakad Movie Review) ছবির মোদ্দা কথা এটাই। অর্থাৎ কঙ্গনা রানাউতের এই সংলাপই ছবির পুরো গল্পটা বলে দেয়। তবে পরিচালক একটা টুইস্ট রেখেছেন বটে। কিন্তু অতিরিক্ত মারপিটের চোটে সেই টুইস্টও দুর্বল।
কেমন হল ধাকড়?
মাফিয়া রুদ্রভীরের (অর্জুন রামপাল) বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করার দায়িত্ব দেওয়া হয় স্পেশাল এজেন্ট অগ্নিকে (কঙ্গনা)। কিন্তু সেই তথ্য জোগাড় করতে গিয়েই সামনে আসে এমন এক তথ্য, যা জানতে পেরে গোটা কর্মকাণ্ডটাই বদলে যায়। আর সেখান থেকেই শুরু হয় এজেন্ট অগ্নির আসল লড়াই। মোটামুটি এমন এক গল্পকেই ‘ধাকড়’ ছবিতে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন পরিচালক। তবে ছবির গল্পকে কম গুরুত্ব দিয়ে, একের পর এক ফ্রেমে কঙ্গনার নানা কায়দার মারপিটকেই বেশি হাইলাইট করেছেন। আর এখানেই ছবি দুর্বল হয়ে পড়ে।
‘ধাকড়’ একেবারেই অ্যাকশন থ্রিলার ঘরানার ছবি। কিন্তু সমস্যা হল, এই ছবিতে থ্রিলারের ছিটেফোঁটাও নেই। ছবির শুরু থেকে শেষ শুধুই অ্যাকশন আর অ্যাকশন।
অভিনয়ের দিক থেকে সবার আগে নাম নিতে হয় অভিনেত্রী দিব্যা দত্তর। অভিনয়ে সবাইকে তিনি একেবারে টেক্কা দিয়েছেন। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ও তাঁর চরিত্রে যথাযথ। অর্জুন রামপালও মাফিয়া চরিত্রে বেশ মানানসই। কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) এই ছবির জন্য যে খুবই পরিশ্রম করেছেন, তা স্পষ্ট ছবি জুড়ে। বিশেষ করে অ্যাকশন দৃশ্যে কঙ্গনা প্রমাণ করেছেন, তিনি অন্যান্য নায়িকাদের থেকে একেবারেই আলাদা।
‘ধাকড়’ ছবির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিই হল দারুণ সিনেম্যাটোগ্রাফি। এর জন্য অবশ্যই বাহবা দিতে হয় Tetsuo Nagataকে। এই ছবির অ্যাকশন ডিরেক্টরও ছিলেন Tetsuo Nagata। তবে এত কিছু থাকা সত্ত্বেও এই ছবি কিন্তু আগ্রহকে ধরে রাখতে পারে না। তাঁর একমাত্র কারণই হল দুর্বল চিত্রনাট্য। অত্যাধিক অ্যাকশন এই ছবির গল্পকে এগোতে বাধা দেয়। ফলে ছবি এগিয়ে চললেও, গল্প এক জায়গাতেই থেমে থাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.