আকাশ মিশ্র: কথায় আছে, শাদি দিল্লি কা লাড্ডু, যিনি খাবেন তিনি পস্তাবেন, যিনি খাবেন না তিনিও পস্তাবেন। পরিচালক রাজ মেহতার নতুন ছবি ‘যুগ যুগ জিও’র গল্প এই প্রচলিত প্রবাদকেই মোটামুটি আড়াইঘণ্টা ধরে টেনে নিয়ে গিয়েছে। আর এই গল্প টেনে নিতে পরিচালক সাহায্য নিয়েছে দুটি ভাঙা দাম্পত্য ও একটি বিয়েকে!
‘যুগ যুগ জিও’র ছবির গল্পে নতুনত্ব কিছুই নেই। বলিউডে এরকম গল্প আগেও দেখা গিয়েছে। এই ছবিতে সেই গল্পগুলোই যেন ফের দেখা গিয়েছে। কিছুটা ‘নো এন্ট্রি’, কিছুটা ‘তন্নু ওয়েডস মন্নু’, কিছুটা আবার ‘কভি অলবিদা না কহেনা’। সব মিলিয়ে গল্পের ঘ্যাঁট পাকিয়েছেন পরিচালক।
মূলত, এই ছবি কমেডি ঘরানার। কমেডি রয়েছে প্রচুর। যা কিনা আপনাকে হাসাবে। ছবির দ্বিতীয়ভাগে ‘যুগ যুগ জিও’ বেশ সিরিয়াস হয়ে ওঠে। যা কিনা আগে থেকেই ছবির চলন দেখে বোঝা গিয়েছিল। তাই এই ছবি শুরু থেকে শেষ মোটামুটি আগে থেকেই ছকে নেওয়া যায়।
‘যুগ যুগ জিও’ ছবির ভাল দিক রয়েছে। এই ছবিতে রয়েছে ভরপুর বিনোদন। রোমান্টিক দৃশ্য, গান, নাচ, অভিনয়, সম্পর্ক নিয়ে জ্ঞান। একটা মশালা ছবি যেমন হওয়া উচিত, তার প্রত্যেকটি উপাদান ছিল এই ছবিতে। অন্তত, যাঁরা সিনেমাকে শুধুমাত্র বিনোদনের আঙ্গিকেই ভাবেন, তাঁদের এই ছবি ভাল লাগবেই। এই ছবির আরেকটি ভাল বিষয় হল, সম্পাদনা। ছবি খুবই দ্রুত গতিতে এগোয়। ফলে ছবিটা একেবারেই বোরিং হয়ে যায় না।
অভিনয়ের দিক থেকে অনিল কাপুর ও নীতু সিং দুজনেই অসাধারণ। বরুণ ঠিকঠাক। দেখতে ভাল লাগবে কিয়ারা আডাবাণীকে। শেষমেশ বলা ভাল, ‘যুগ যুগ জিও’ ছবিটি মাঝারি মানের হয়েও, মন ভাল করার ছবি। তাই কাজের চাপে ক্লান্ত হলে, এই ছবি দেখতেই পারেন। খারাপ লাগবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.