Advertisement
Advertisement

Breaking News

সুপার ৩০

সবার জন্য শিক্ষা, অধিকারের নয়া পরিভাষা ‘সুপার ৩০’

হলে যাওয়ার আগে জেনে নিন কেমন হল ‘সুপার ৩০’?

Hrithik Roshan’s ‘Super 30’ is a worth to watch film for cine-goers
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:July 12, 2019 5:33 pm
  • Updated:July 12, 2019 5:42 pm  

সন্দীপ্তা ভঞ্জ: ‘সুপার ৩০’ পাটনার গণিতবিদ আনন্দ কুমারের ৩০ জন হতদরিদ্র ছেলেমেয়েদের নিয়ে লড়ার গল্প। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এবং প্রচলিত শ্রেণিবৈষম্যের উপর কষিয়ে চড় বসিয়েছে এই ছবি। সওয়াল করেছে আমাদের বিবেককে। সত্যিই কি জোর যার মুলুক তাঁর? সিংহাসনের উত্তরসূরি হিসেবে যথাযোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও কি রাজার ছেলেই রাজা হবে? গল্পের পরতে পরতে প্রশ্ন তুলেছে ‘সুপার ৩০’।

কেন দেখবেন ‘সুপার ৩০’?

Advertisement

ভারতের ভাগ্যে এখনও জোটে উন্নয়নশীল দেশের তকমা। এই ১৩৪ কোটির দেশ এখনও তৃতীয় সারিতে বিরাজমান। এককথায় গরিব। তাই তো স্লোগান ওঠে ‘গরিবি হঠাও’। কী করে? পেটে খিদে নিয়ে? ঠিক যেমনটা আনন্দ কুমারের ছাত্রছাত্রীরা করেছিল? ফুটো চাল, বসতির আস্তাকুঁড়ে, আধপেটা জীবনে নাসার বিজ্ঞানী কিংবা বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় স্বপ্ন তাই ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার মতোই ঠেকে। বড় কিছু করার স্বপ্ন তাই ওই বসতির আস্তাকুঁড়ের মধ্যেই চাপা পড়ে যায়। ঠিক যেমনটা আনন্দরূপী হৃতিককে দিতে হয়েছিল পাঁপড় বেচার সময়। কেমব্রিজে পড়তে যাওয়ার ডাকপত্র মুড়ে পাঁপড় বেচতে হয়েছিল তাঁকে। অর্থাভাবে নিজের বাবাকে পর্যন্ত বাঁচাতে পারেননি তিনি। প্রতিশ্রুতি দেওয়া মন্ত্রী-আমলাও মুখ ফিরিয়েছেন আসল সময়ে। অতঃপর আস্তাকুঁড়েয় খুঁটে খাওয়া কাকের মতোই তাঁকেও নোংরা ঘাটতে হয়েছে। লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য অপেক্ষারত প্রেমিকাকেও হারিয়েছেন। তবে, থেমে থাকেননি। হার মানেননি জীবনযুদ্ধের কাছে। সমাজের উঁচুতলার মানুষদের রক্তচক্ষুকে তোয়াক্কা না করে সাঁতরেছেন স্রোতের উলটো দিকে। হাসিমুখে লড়ে গিয়েছেন। দরিদ্র ছেলেমেয়েদের শুধু পড়াশোনার দায়িত্ব নেননি, দু’বেলা দু’মুঠো খাবারও তুলে দিয়েছেন তাঁদের মুখে। তথাকথিত ‘এডুকেশন মাফিয়া’দের হাত থেকে বাঁচিয়ে কীভাবে আনন্দ নিজের ‘সুপার ৩০’ টিমকে পৌঁছে দিলেন দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে? সেটা না হয় আপনার প্রেক্ষাগৃহে যাওয়া অবধি তোলাই থাক!

আনন্দ কুমারের ভূমিকায় হৃতিক রোশন

এবার আসা যাক ‘সুপার ৩০’-র মূল চরিত্র হৃতিক রোশনের কথায়। ‘অগ্নিপথ’-এর পর ফের ‘ডি-গ্ল্যামারাস’ চরিত্রে তিনি। মলিন কাপড়-চোপড়। কাঁধে গামছা। উসকোখুসকো চুল। জীবনের সঙ্গে লড়তে লড়তে চোখেমুখে তাঁর ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। পর্দায় আনন্দের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। বলা ভাল, নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন হৃতিক। তবে, বিহারি উচ্চারণের ক্ষেত্রে তাঁর হোমওয়ার্ক আরেকটু পোক্ত হলে ভাল লাগত। ছবির প্রথম ধাপে হৃতিকের উচ্চারণগত একটা সমস্যা ঠেকলেও দ্বিতীয় ধাপে আনন্দ কুমারের ভূমিকায় অনেকটাই ম্যাচিওর মনে হয়েছে তাঁকে। মূলত কিছু দৃশ্যে মন কেড়েছে হৃতিকের অভিব্যক্তি। তবে, মেক-আপের দৌলতে বলিউডের গ্রীক গডের চেহারার পোড়াভাবটা বেশ নজরে পড়ার মতো।

নজর কাড়ল

কয়েকটা দৃশ্যে নজর কেড়েছে অনয় গোস্বামীর সিনেমাটোগ্রাফি, অমিত রায় এবং সুব্রত চক্রবর্তীর সেট ডিজাইন। তবে অভাব বোধ হল গান শুনে। ‘সুপার ৩০’-র সংগীতে যদি একটু বিহার ঘেঁষা ব্যাপার থাকত, জমে যেত। শেষে একটাই কথা বলব, ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু’- এই প্রবাদবাক্য হাড়ে হাড়ে প্রযোজ্য বিকাশ বহেল পরিচালিত ‘সুপার ৩০’-র জন্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement